চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হয়েছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মো. জলিল (২৪) নামে একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার রায়খালী এরিনা কমপোজিট অ্যান্ড স্পিনিং ইন্ড্রাস্টি লিমিটেডের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে বাসটির চালক জাকির হোসেনকে (৩০) আটক করা হয়েছে। তিনি নেত্রকোনার মদন উপজেলার আব্দুল হাশেমের ছেলে।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার মো. আদিলের স্ত্রী অঞ্জনা বেগম (৪০), ফটিকছড়ি উপজেলার জালাল আহাম্মদের ছেলে মো. সেলিম (৪৫), পটিয়ার মৃত বলরাম দের ছেলে বাবুল দে (৬০), একই উপজেলার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. করিম (৫৪) ও উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আবু ফয়েজ (২৫)। তিনি পটিয়া উপজেলার পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার একটি দোকানে চাকরি করতেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকালে পটিয়া থেকে বোয়ালখালীর দিকে অটোরিকশাটি যাচ্ছিল। বিপরীতে বোয়ালখালীর হাওলাপুরী দরবার শরীফ থেকে পটিয়ার দিকে যাচ্ছিল বাসটি। এটির গন্তব্য ছিল নেত্রকোনা। সোয়া ৮টার দিকে এরিনা কমপোজিট অ্যান্ড স্পিনিং ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের সামনে রাস্তায় দুটি যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চারজন মারা যান। আহত বাকি দুজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে আরেকজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকি একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হতাহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী।

বোয়ালখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্ঘটনায় এক নারীসহ চারজন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। অটোরিকশাচালক এবং একজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় বাস চালককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে বাসটিও জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। 

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বোয়ালখালী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। আহত আরেকজনকে হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। 

এমআর/জেডএস