প্রগতির এমডি তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা
প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি গ্রহণ ও সরকারি প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি গ্রহণ, সরকারের অনুমোদন ব্যতিত গাড়ি ব্যবহার, কনসালট্যান্ট নিয়োগ, চুক্তি স্বাক্ষর ও কাজ না করেই বিল উত্তোলনের মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪১৭/৪২০/৪৬৫/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্র আরও জানায়, আসামি মো. তৌহিদুজ্জামান যোগ্যতা অনুসারে দরখাস্ত না করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে যথাসময়ে আবেদন না করে কর্পোরেশনের অসৎ কর্মচারীদের যোগসাজশে পরে দরখাস্ত জমা দেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়োগের জন্য যেসব শর্ত বা যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিল সেইসব যোগ্যতার কোনোটাই তার ছিল না। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো সনদপত্র জমা দেননি। তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র সৃজনপূর্বক দরখাস্ত জমা দেন।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে প্রার্থীদের বয়সসীমা ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি ৪২ বছর হতে হবে। কিন্তু তার জন্ম তারিখ ছিল ১৯৬৭ সালের ১ জানুয়ারি। অর্থাৎ ওই সময়ে তার বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। তিনি প্রকৃত সত্য গোপন রেখে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল কাগজপত্র করে জাল কাগজপত্রকে জেনেশুনে খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ৪২ বছর বয়স দেখিয়ে চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরে তিনি প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
এছাড়া আসামি মো. তৌহিদুজ্জামান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনে যোগদানের পর হতেই প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এ পদায়ন হন। তিনি প্রগতি টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
আরএম/জেডএস