ভুয়া সংবাদমাধ্যম খুলে নিয়োগের নামে টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি
চক্রটি ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টিভি (বিএসটিভি নিউজ ২৪)’ নামের ভুয়া অনলাইনভিত্তিক একটি চ্যানেল খুলে। পরে এই চ্যানেলে জেলা ও উপজেলার প্রতিনিধি নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয় চক্রটি। চক্রটির ফাঁদে পা দেয় আগ্রহী চাকরি প্রত্যাশীরা। পরে তাদের কাছ থেকে ১৫-২৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চক্রটির ১০ সদস্যকে রাজধানীর হাতিরঝিল ও মতিঝিল এলাকা থেকে আটক করেছে র্যাব-৪। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যান্ডসহ ক্যামেরা, কম্পিউটার, ভিজিটিং কার্ড ও ব্যানার উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতাররা হলেন- শাহীন খান (৫০), নূর হোসেন ওরফে নুরুল ইসলাম নাহিদ (৩৭), মো. রিয়াদ মাহমুদ (২৪), মো. রিমন পারভেজ (২৬), মো. জয়নুল আবেদীন (৫৫), মো. আকবর হোসেন (৩৯), মো. রাজিব হোসেন (৩৯), রায়হান পারভেজ (২১), ইমরুল কাইয়েচ ওরফে ফয়েজ (২৫) ও আইয়ুব খান (৩০)।
সোমবার (২২ মার্চ) র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। চক্রটির মূলহোতা শাহীন খান ও নূর হোসেন। তাদের নির্দেশনায় আটক বাকি ৮ জন কাজ করত।
তিনি বলেন, প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত অনুমোদনহীন অনলাইনভিত্তিক ভুয়া স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টিভি (বিএসটিভি নিউজ ২৪)’ এর মাধ্যমে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সাংবাদিক প্রতিনিধি নিয়োগের কথা বলে শিক্ষিত বেকার ও নিরীহ যুবক/যুবতীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল। চক্রটি প্রতারণার কৌশল হিসেবে রিপোর্টার নিয়োগের জন্য বিভিন্ন জেলায় তাদের বিশেষ প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে বলে জানা যায়। নিজেরা নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি ব্যবহার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করে ‘বিএসটিভি নিউজ ২৪’ চ্যানেলের কথিত লোগো ব্যবহার করে আগ্রহী প্রার্থীদের আকর্ষণ করত।
তিনি আরও বলেন, চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিপোর্টার নিয়োগের আকর্ষণীয় চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছিল। বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে যারা চাকরির জন্য সরল বিশ্বাসে যোগাযোগ করত, এমন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫-২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিত। এ কার্যক্রমের জন্য মাঠ পর্যায়েও তাদের বিভিন্ন সহযোগী রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
এমএসি/এসএসএইচ