আমার মা বঙ্গবন্ধুর জন্য ৯ মাস রোজা রেখেছেন : মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের কাছে ছিলেন অতি আপনজন। যুদ্ধ থেকে ফিরে আসবো না জেনেও আমার মা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে আমাকে যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্য ৯ মাস রোজা রেখেছেন। আমার মায়ের মতো কোটি মা তার সন্তানদের হাসি মুখে যুদ্ধে পাঠিয়েছেন। এ দেশের মায়েরা মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন, থাকতে দিয়েছেন। হয়তো তাদের অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে দেখেননি।

আজ (মঙ্গলবার) ‌‘২৫শে মার্চের গণহত্যা: বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।

এ সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, সারা পৃথিবীতে গণহত্যার নির্মমতার ইতিহাসে একাত্তরের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর পৈশাচিকতা ছিল নজিরবিহীন। এই দিনটি বাঙালির জন্য বেদনা ও স্মৃতিকাতরতার দিন। বেতার বার্তায় পাঠানো ২৬শে মার্চে প্রচারিত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এদেশের কিছু দোসর ছাড়া গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ’৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার ঘোষণার ধারাবাহিকতায় ’৬৮ সালের পর থেকেই সরাসরি স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জয় বাংলা ঘোষণা, বাংলাদেশ নামকরণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় পতাকা উত্তোলন এবং জয় বাংলা বাহিনীর প্যারেড অ-আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণারই বহিঃপ্রকাশ। ৬৮ সালের পর পুরো সময়টাই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমরা সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের কথাই বলেছি।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন। মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতীক)। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিএসসিএল চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিনসহ অনেকে। সবশেষে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর আয়োজিত রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

একে/এনএফ