ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে আঘাত হানতে পারে। এর ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। 

বুধবার (১০ মে) বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় ইস্যুতে অনুষ্ঠিত এক সভার শুরুতে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় দিক পরিবর্তন করলেও আমরা প্রস্তুত। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কেবল একটি জেলা কক্সবাজার এই ঘূর্ণিঝড় আঘাতের শঙ্কায় রয়েছে। সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে সতর্কতা সঙ্কেত তিনের ওপর চলে যাবে।

তিনি বলেন, ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানবে এটি। সেন্টমার্টিন এবং টেকনাফের নিচু এলাকায় আঘাত হানার শঙ্কা রয়েছে। সেখানে আমাদের পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার আছে। আমরা লোকজনকে সরিয়ে সেখানে নিতে পারব। যার ফলে মানুষের ক্ষয়ক্ষতিটা আমরা শতভাগ কমিয়ে আনতে পারব।

লোকজন সরানোর কাজ কবে থেকে শুরু করবেন? জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, লোকজন সরানোর কাজ সাধারণত সিগন্যালের ওপর নির্ভর করে। আমরা সাধারণত ৫, ৬, ৭ সিগন্যাল থেকেই লোকজনকে সরানোর কাজ শুরু করি।

একটা আশঙ্কা আমরা করছি যদি টেকনাফ উপকূল দিয়ে যায় এবং এই গতিবেগে যদি ঝড় হয় তাহলে রোহিঙ্গাদের যে ক্যাম্পগুলো আছে, এগুলো যেহেতু অস্থায়ীভাবে আবাসন করে তোলা হয়েছে, সেখানে ক্ষয়ক্ষতির একটা আশঙ্কা আছে।

তিনি আরও বলেন, এটা সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে, এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আমাদের। ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ থেকে ২৩২ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।

এসএইচআর/জেডএস