কাজ শেষ হয়নি, গ্যাসের সমস্যা থাকবে বৃহস্পতিবারও
মঙ্গল ও বুধবারের (২৩ ও ২৪ মার্চ) মতো আগামীকালও (বৃহস্পতিবার) রাজধানীতে গ্যাস সরবরাহ কম থাকবে বলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সাভারের আমিন বাজারে সড়কে কাজ করার সময় তিতাসের ফিডার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মঙ্গলবার সারাদিনই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। এ সময় অন্যান্য এলাকাতেও দিনব্যাপী গ্যাসের স্বল্পচাপ ছিল।
বিজ্ঞাপন
ফিডার লাইন মেরামতের কাজ শেষ না হওয়ায় আজও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে। পাশাপাশি গ্যাসের স্বল্পচাপ পাওয়া যাচ্ছে অনেক এলাকাতে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকালও রাজধানীতে গ্যাস সরবরাহ কম থাকবে।
বুধবার সন্ধ্যায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় সামগ্রিক নেটওয়ার্কে গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় ঢাকা শহরসহ আশপাশের এলাকায় প্রয়োজনীয় পরিমাণে এবং চাপে গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না। এ জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ অবস্থায় আগামীকালও (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বুধবার দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বলেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ সাভারের আমিন বাজারে কাজ করার সময় তিতাসের ফিডার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গতকাল তাৎক্ষণিকভাবে গ্যাস শাটডাউন (বন্ধ) করে দেওয়া হয়েছিল। সেখানকার কাজ এখনও শেষ হয়নি। ফলে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না। এখানে আরও সময় লাগবে। আমাদের টিম সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে কলাবাগান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, টোলারবাগ, গ্রিনরোড কলাবাগান এলাকায় গতকাল থেকেই গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। অন্য এলাকাগুলোতেও গ্যাসের স্বল্পচাপ রয়েছে, যা দিয়ে রান্নার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা। রান্না জন্য তাদেরকে ভিন্ন ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।
তিতাস সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস লাইনের ত্রুটি মেরামতের কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমিনবাজারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বালু ফেলে পাইলিং করতে গিয়ে তিতাসের পাইপলাইন ছিদ্র করে ফেলে। এখন এক্সকাভেটর (খননকারী যন্ত্র) দিয়ে বালু সরাতে গেলেই সেখানে পানি চলে আসছে। গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনো ফল আসেনি। অন্যদিকে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী পয়েন্ট দিয়েও গ্যাসের সরবরাহ কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। যে কারণে রাজধানীবাসীর গ্যাস নিয়ে ভোগান্তি আরও কিছুটা বাড়তে পারে।
এএসএস/এফআর