জাল নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে প্রভাষক পদে চাকরি দিয়ে মামলায় ফাঁসছেন চুয়াডাঙ্গার বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সাত্তার। যাকে চাকরি দিয়েছেন সেই প্রভাষক মো. শফিকুল ইসলামসহ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ১৮ মে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সাত্তার ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দিতে জাল নিবন্ধন সনদ তৈরি করে দেন। জাল নিবন্ধন সনদ দেখিয়ে মো. শফিকুল ইসলামের অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি করা হয়। ২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর নিয়োগ পাওয়ার পর ২০১১ সালের জানুয়ারি এমপিওভুক্ত হন তিনি। অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে ওই বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৮৪ টাকা বেতন-ভাতা-বাবদ সরকারি কোষাগার হতে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন শফিকুল।

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মো. শফিকুল ইসলাম অধ্যক্ষের প্রস্তাবে রাজি হন এবং পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষক (ইংরেজি) সাজেদুল ইসলামকে বিতাড়িত করেন এবং সাজেদুল ইসলামের নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সাত্তার জাল সনদ তৈরি করেন। পরবর্তীতে নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে মো. শফিকুল ইসলামকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এমপিও ভুক্ত করে দেন।

প্রতারণামূলকভাবে জাল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ তৈরি ও তা ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সাত্তার ও একই কলেজের প্রভাষক মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয় দুদক।

আরএম/এসকেডি