ত্যাগীরাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকবেন: হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন ‘সুযোগ সন্ধানী অনুপ্রবেশকারী নয়, ত্যাগীরাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বে থাকবেন।’
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ড. হাছান বলেন, ‘যারা দুঃসময়ে দল ও জননেত্রীর পাশে ছিলেন, তারাই নেতৃত্বে আসবেন। সুযোগ সন্ধানীদের নেতৃত্বে বসানোর কোনো সুযোগ নেই। গত ১২ বছরে নানা উদ্দেশ্য নিয়ে যারা দলে প্রবেশ করেছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে বের করে দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। আজকে অর্থনৈতিক, মানব উন্নয়ন, সামাজিক সব সূচকে আমরা পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি। অনেক সূচকে আমরা ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছি। এটা যাদের সহ্য হয়না, তারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়েছে। এখন তাদেরকে চিহ্নিত করে বের করে দেয়া হচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ভাইরাসটি মোকাবিলা করছেন। আপনারা দেখেছেন, সম্প্রতি করোনা মোকাবিলা নিয়ে ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উপমহাদেশে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে এবং সমগ্র বিশ্বে করোনা মোকাবিলা দক্ষতায় বাংলাদেশ ২০তম। আমরা করোনাকে কতটুকু সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারছি, এই রিপোর্টই তা বলে দিচ্ছে।’
এ সময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সবাইকে সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা মোকাবিলায় সাফল্য অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফজলুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য শাহাব উদ্দিন ফারাজী।
এইউএ/এমএইচএস