ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব সমকালীন বিশ্বের বিস্ময়। হুচিমিন, মাওসেতুং, চে গুয়েভারা, লেলিন কিংবা মাও সেতুং- তাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে তুলনা করলে বলা যাবে তিনি ছিলেন অনন্য।’

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মুজিবজন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমার প্রজন্মের জন্য স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ পালন করা খুবই সৌভাগ্যের বিষয়। সেই সময়ে মা-বাবারা যখন যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন তখন তারাও ভাবেননি আমরা ফেরত আসব। আমরা ৫০ বছরের রূপান্তর দেখেছি।’

‘স্বাধীনতা আমাদের রক্তে কেনা অর্জন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো এক জন মহামানবের জন্ম এই মাটিতে হয়েছিল বলে আমাদের এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমাদের এই অর্জনকে অর্থবহ করতে হবে। এই লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করতে হবে।’

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা করে ঢাকা শহরকে লাশের শহরে পরিণত করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য খুবই স্মৃতি জাগানিয়া সময় ছিল এটি।’

৫০ বছরের বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৭ বছরের বাংলাদেশের অগ্রগতির তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশ ছিল অপশক্তির হাতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের লক্ষ্য সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা। এর অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন দ্রুত গতিতে করা।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন। এতে বক্তব্য দেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিএসসিএল চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, বিটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. রফিকুল মতিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস সহায়ক তাহমিদা সুলতানা।

একে/এফআর