রাজধানীর দক্ষিণখান থানার সাহেব বাড়ির মোড় এলাকায় কানাডা প্রবাসী এক নারীকে হত্যার পর বালি চাপা দিয়ে পুঁতে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

নিহত নারীর নাম আফরোজা বেগম (৪০)। তিনি ও তার স্বামী কানাডা প্রবাসী। সম্প্রতি তারা দেশে আসেন। 

নিহতের এক স্বজন জানান, আফরোজা বেগমকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। তবে আফরোজা বেগমের স্বামী আশরাফুল আলম তাকে হত্যা করতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
 
অভিযুক্ত আশরাফুল আলম এরই মধ্যে কানাডা ফিরে গেছেন বলে দাবি করেছেন ওই স্বজন। 

মৃত আফরোজা বেগমের ভাই আরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বোন পাঁচ ছয় বছর ধরে কানাডা থাকেন। আমার বোনের আগে একটি বিয়ে হয়েছিল। প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর প্রবাসী আশরাফুল আলমকে বিয়ে করেন তিনি। গত রোজার আগে আমার বোন আশরাফুল আলমকে নিয়ে দেশে আসেন। দেশে আসার পরে আবার রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়। তারা দুজনে আবার পাসপোর্টও ঠিক করেন। 

তিনি আরও বলেন, আমার বোন ও তার স্বামী আমাদের গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর ডোমার এলাকায় বেশ কিছু দিন ছিলেন। তাদের দুজনের আবার কানাডায় চলে যাওয়ার কথা ছিল। কয়েকদিন আগে তারা ঢাকায় আসেন। আমার এক ভাগ্নি সেও কানাডায় থাকে। গত রোববার (২৮ মে) থেকে আমার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। আমার বোন জামাইকে ফোন দিলেও তাকেও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জানতে পারলাম তিনি আমার ভাগ্নিকে নিয়ে কানাডায় চলে গেছেন। কিন্তু আমার বোনের কোন খবর পাচ্ছিলাম না।

তিনি আরও বলেন, পরে আমি গত সোমবার দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। আজ পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি আমার বোনকে হত্যা করে বালির নিচে পুঁতে রেখে কানাডায় চলে গেছেন আশরাফুল আলম। আশরাফুল আলমের বাড়ির বাউন্ডারির ভেতরে বালি চাপা দিয়ে রেখে যায় সে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছে। এখনো মরদেহটি উদ্ধার করা হয়নি। সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেওয়া হয়েছে তারা আসলে বালির নিচ থেকে আমার বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন খান। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, মৃত আফরোজা বেগমের ভাই গত ২৯ তারিখে আমাদের থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করেন। আমাদের একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি মৃত্যুর রহস্যকে উদঘাটন করেন। এখনো মরদেহটি উদ্ধার করা হয়নি সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে মরদেহটি বালির নিচ থেকে উদ্ধার করা হবে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

এসএএ/এসকেডি