প্রস্তাবিত বাজেটে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তির সেবার ব্যবহারকারীদের জন্য কোন সুখবর নেই বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার (১জুন) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটকে (২০২৩-২৪) বলা হচ্ছে স্মার্ট বাজেট। কিন্তু স্মার্ট বাজেটের চারটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট কানেক্টিভিটি ও স্মার্ট অর্থনীতি পরিশেষে স্মার্ট জনগণ। এই চারটি খাতে উন্নয়ন করতে হলে একজন নাগরিকের চাই সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সেবা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য চাই স্মার্ট ডিভাইস। কিন্তু স্মার্ট বাজেটের কথা বললেও স্মার্ট কানেক্টিভিটির অন্তরায় তৈরি করে প্রস্তাবিত বাজেটে হ্যান্ডসেট ডিভাইসের উপর তিন থেকে পাঁচ শতাংশ কর নতুন করে আরোপ করা হয়েছে।

এছাড়া আমদানির উপর পূর্বের ৫৮ শতাংশের সঙ্গে নতুন করে কর যুক্ত করা হয়েছে। দেশের যেখানে এখনো ৪৪ শতাংশ নাগরিক ইন্টারনেট কানেক্টিভিটিতে যুক্ত হতে পারেনি সেখানে এমন সিদ্ধান্ত তাদের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, ক্যাশলেস বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে সবার হাতে স্মার্ট ডিভাইস অত্যন্ত জরুরি। মোবাইল ইন্টারনেট ও ভয়েজ কলের ক্ষেত্রে ৩৩.৭৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহত রয়েছে। এক্ষেত্রেও সিম ট্যাক্স রাজস্ব ভাগাভাগি এবং মধ্যস্বত্ব সেবার কর মিলিয়ে প্রায় ৫৮ শতাংশ কর অপারেটরকে দিতে হয়। আমরা আশা করেছিলাম গ্রাহক সেবার ক্ষেত্রে হয়ত কিছুটা কর কমানো হতে পারে। ব্রডব্যান্ড সেবার ক্ষেত্রেও ১৫ শতাংশ কর অব্যাহত আছে। কেবলমাত্র ফাইবার উৎপাদনের জন্য ৫ শতাংশ কর কমানো হয়েছে। ফাইবার ক্যাবলে কর কমানোর ফলে ইন্টারনেট সেবা দানকারী আইএসপি প্রতিষ্ঠানের হয়ত কিছুটা লাভ হবে কিন্তু গ্রাহক পর্যায়ের সুফল খুব একটা মিলবে না।

ওএফএ/এমজে