ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে প্রতিবাদে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ইসলামি দলগুলোর নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

সংঘর্ষের ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৫০ জন আহত চিকিৎসা নিয়েছেন যাদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক। তবে মুসল্লিদের দাবি, মসজিদের ভেতরে আরও অনেকে আহত অবস্থায় রয়েছেন।

বায়তুল মোকাররম এলাকায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। মসজিদের ভেতরে মোদিবিরোধী পাঁচ শতাধিক মুসল্লি আটকা রয়েছেন।

পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ভেতরে আটকে পড়া মুসল্লি ও আন্দোলনকারীদের বের করতে সমঝোতা করছে পুলিশ। এদিকে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার জন্য বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটে অবস্থান নেওয়া রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে মসজিদের ভেতরে থাকা লোকজন পুলিশের কথায় আশ্বস্ত হননি। তাই বায়তুল মোকাররম এলাকার পরিস্থিতি এখনও থমথমে রয়েছে।

এদিকে বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটের সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা ছয় থেকে সাতটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। মসজিদের আশপাশের এলাকায় ও মসজিদের ভেতরে সংঘর্ষের ঘটনায় নিক্ষেপ করা ইটপাটকেল চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে একেবারে নিয়ন্ত্রণে না। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই তাদেরকে বায়তুল মোকাররম ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

এদিকে আজ সকালেই দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন নরেন্দ্র মোদি। তার সফর ঘিরে শুক্রবার কোনো অপচেষ্টা বরদাস্ত করবে না বলেই আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল পুলিশ।

এমএসি/জেইউ/ওএফ