রাজধানীর মিরপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টের জেরে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) পুলিশ বাদী হয়ে কাফরুল থানায় মামলা দুটি দায়ের করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাফরুল থানার এসআই মো. আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলার আসামি মো. সোহেল বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

কাফরুল থানার এসআই সাদ্দাম হোসেন ফয়েজ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলা ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে দুই থেকে আড়াই হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আর তিনজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকালের ঘটনায় পুলিশ বাদী দুটি মামলা করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযুক্ত সোহেল পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। আর ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগ তুলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক কোনো মতাদর্শ কাজ করেছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিরপুর-১৩ নম্বরে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে ধর্মীয় কটূক্তিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। রোববার (৪ জুন) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে।

এক ব্যক্তি ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট করেন। এ পোস্ট ছড়িয়ে পরলে স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গের সংঘর্ষ হয়।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করেঠে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি পোস্ট দেওয়ার পর স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে আসে। এরপর স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জেইউ/ওএফ