ফাইল ছবি

হজযাত্রীদের ভিসা ধীরগতির কারণে হজ ফ্লাইট নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। প্রায়ই খালি ও ফাঁকা রেখে ছাড়তে হচ্ছে বিমানের ফ্লাইট। হজযাত্রী সংকটে এরই মধ্যে বাতিল হয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট। যাত্রীর অভাবে এখন পর্যন্ত কতটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তার তথ্য জরুরি ভিত্তিতে জানতে চেয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৫ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখা-১ উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বাতিল হওয়ার বিমানের ফ্লাইটের তথ্য জরুরি ভিত্তিতে চাওয়া হয়েছে। 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত কতটি হজ ফ্লাইট ক্যাপাসিটি লস করেছে এবং বাতিলকৃত ফ্লাইটসমূহে কোন কোন হজ এজেন্সির বুকিং দেওয়া ছিল সেসব তথ্য জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য বলা হয়।

হজ অফিস জানিয়েছে, গত ২১ মে থেকে শুরু হওয়ার পর থেকেই যাত্রী সংকটে পড়ে বিমান। গত রোববার পর্যন্ত বিমানের ৭টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া ফ্লাইটের ঘাটতি পূরণে আরও পাঁচটি বাড়তি ফ্লাইটের অনুমোদনের জন্য গত ৩ জুন ধর্ম মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

রোববার দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৫৯৯ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৩৫০ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৪৪ হাজার ২৪৯ জন। এ পর্যন্ত ৮১ হাজার ৩২৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী হজ এজেন্সির সংখ্যা ৬০৩টি। হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে ২১ মে। শেষ হজ ফ্লাইট আগামী ২২ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২ জুলাই আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২ আগস্ট।

এনএম/ওএফ