নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে পতাকা উত্তোলন/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

দেশের বাইরেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। নেপালের কাঠমান্ডুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজ কার্যালয়ে বিশেষ দিনটি পালন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে নেপাল থাকায় দেশটিতে এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে খানিকটা ভিন্নতা এসেছে। যদিও আগামীকাল (শনিবার) ম্যাচ থাকায় জাতীয় দলের কোচ ও ফুটবলারদের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, বাফুফের দুই নির্বাহী সদস্য এসেছিলেন এ অনুষ্ঠানে। টুর্নামেন্টের সংবাদ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে এ শুভক্ষণে ছিলেন নেপালে থাকা অনেক বাংলাদেশিও।

নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য দোয়া ও প্রয়াতদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব দূতাবাসের অফিসে অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের ৫০ বছরে অনেক অর্জন রয়েছে। এই ৫০ বছরে বাংলাদেশ সামাজিকভাবে উন্নয়ন হয়েছে অনেক। যা অনেক দেশের পক্ষেই সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অবকাঠামো খাতে অনেক এগিয়েছি। নিজেদের উদ্যোগেই অনেক কিছু করার সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছি। এটা সম্ভব হয়েছে শিক্ষার প্রসার ও দারিদ্র্যতার হার কমায়।

রাষ্ট্রদূত ছাড়াও উপস্থিত অনেকেই বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে বাফুফের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে ৩০ মার্চ দূতাবাসে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। 

এজেড/এফআর