ভাড়াটিয়া পরিষদের মানববন্ধন

রোজার আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে আগুন লেগেছে। প্রতিদিনই লাগামহীনভাবে বাড়ছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। এতে দিশেহারা সাধারণ, নিম্ন ও মধ্য আয়ের জনগণ।

শনিবার (২৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ানোর জন্য দায়ী ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের দাবিও জানান।

মানববন্ধনে তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে পুরো জাতি আজ অসহায়। এভাবে মানুষ বাঁচতে পারে না। বাজারে মিনিকেট চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা দরে, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬০ টাকা, পাকিস্তানি বা সোনালী মুরগি ৩৫০-৩৭০ টাকা, এক কেজি গরুর মাংস কিনতে গেলে দিতে হচ্ছে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, রুই মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাহরানে সুলতান বলেন, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এত দাম দিয়ে পণ্য কিনে টিকে থাকা সম্ভব না। অন্যদিকে রমজানকে সামনে রেখে একটি চক্র চিনি, ছোলা, ডালসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়তেই থাকবে।

ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের সমালোচনা করে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বলেন, করোনা মহামারির কারণে এমনিতেই মানুষ দিশেহারা। এমন সময় পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অমানবিক। পানির দাম বাড়ানো হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও বাড়ি ভাড়ায় অস্থিতিশীলতা দেখা দেবে। মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মোস্তফা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব দ্রব্যসামগ্রীর দাম বাড়ায় সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ, শ্রমিক-কর্মচারীরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে টেলি কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিক্যাব) আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয়ের পাশাপাশি ব্যয়ও বেড়েছে। একজন নিম্ন আয়ের মানুষ যা আয় করেন, তার পুরোটাই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা জামাল শিকদার, তুহিন চৌধুরী, রোখসানা বাহার প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএইচএস