দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

রোববার (২৮ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত 'নলেজ ডিসেমিনেশন অ্যান্ড সাস্টেইনেবিলিটি ওয়ার্কশপ অন ইন্টিগ্রেটিং কমিউনিটি বেইজড এডাপটেশন ইন্টু এফরেস্ট্রেশন অ্যান্ড রিফরেস্ট্রেশন' শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

বনমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মােকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। দেশকে 'ক্লিন ও গ্রিন' করার লক্ষ্য পূরণে আন্তরিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে গঠিত ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে জলবায়ু অভিযোজনমূলক বিভিন্ন সফল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের নজর কেড়েছে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, বন অধিদফতর বাস্তবায়িত বাংলাদেশের উপকূলীয় বনায়ন ও পুনঃবনায়নে কমিউনিটিভিত্তিক অভিযোজন কর্মসূচি (আইসিবিএএআর) দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সফল অ্যাডাপ্টেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের উপকূলীয় ৫টি জেলার ৮টি উপজেলায় বাস্তবায়িত থ্রিএফভি (ফরেস্ট, ফ্রুট, ফিস, ভেজিটেবলস) মডেলসহ অন্যান্য অভিনব অভিযোজন কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। আইসিবিএএআর প্রকল্পের আওতায় গত চার বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় মতামত এবং ফলাফল বিশ্লেষণ করে উপকূলের উপযােগী, জলবায়ু সহনশীল, অভিনব, প্রাকৃতিক ও প্রতিবেশভিত্তিক জীবিকায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্পটির জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর  হোসাইন চৌধুরী ও ইউএনডিপির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ সুদীপ্ত মুখার্জি প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি/এসএসএইচ