বাংলাদেশ থেকে ওমানগামী যাত্রীদের জন্য নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটির সিভিল এভিয়েশন। আজ (২৯ মার্চ) থেকে যারা ওমানে যাবেন তাদের নতুন এই বিধিনিষেধ মেনে ফ্লাইটে উঠতে হবে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সব এয়ারলাইন্স যাত্রীদের নতুন বিধিনিষেধ মেনে ফ্লাইটে ওঠার জন্য ক্ষুদেবার্তা ও ইমেইল পাঠিয়েছে।

ওমানের সিভিল এভিয়েশন এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যে প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তারা কোনোভাবেই ওমানে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র কারো পরিবারের সদস্য ওমানে থাকলে সেই পরিবারের অপর সদস্য যেতে পারবেন। এছাড়া কেউ যদি ওমানের পাসপোর্ট ও রেসিডেন্স বিভাগের মহাপরিচালকের (ডিজি) অনুমতি নিতে পারেন সেক্ষেত্রে তিনি প্রবেশ করতে পারবেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওমানে প্রবেশ করা প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। সনদের ৬টি কপি সাথে রাখতে হবে। সার্টিফিকেটের জন্য তাদের যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে সরকার নির্ধারিত কেন্দ্রে নমুনা দিতে হবে (১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য টেস্ট বাধ্যতামূলক নয়)।

যাত্রীদের ওমান বিমানবন্দরে নেমেই সেখানে আবার কোভিড টেস্ট করাতে হবে। টেস্টের জন্য বাংলাদেশ থেকেই তাদের মোবাইল অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন খরচ বাংলাদেশি টাকায় ৫৫০০ টাকা বহন করবেন যাত্রী। 

যাত্রীদের নিজ খরচে নির্ধারিত হোটেলে ৭ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ থেকেই নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হোটেল বুকিং কনফার্ম করে আগেই টাকা পরিশোধ করতে হবে।

প্রতিটি যাত্রীর অন্তত এক মাস মেয়াদের ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ইন্স্যুরেন্স’ করা থাকতে হবে।

এছাড়াও সব যাত্রীকে ওমান যাওয়ার আগে প্লে স্টোর থেকে ‘TARASSUD+' অ্যাপ ডাউনলোড করার নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সরকার।

ওমান থেকে যারা বাংলাদেশে আসবেন তাদের উদ্দেশেও কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওমান ত্যাগ করা প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। সার্টিফিকেটের জন্য তাদের যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে সরকার নির্ধারিত কেন্দ্রে নমুনা দিতে হবে (১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য টেস্ট বাধ্যতামূলক নয়)।

এছাড়াও যাত্রীদের মাস্ক, হ্যান্ড গ্লোভস পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমানবন্দরে চলাফেরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

এআর/এনএফ/জেএস