মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রযুক্তিবান্ধব নীতির ফলে দেশে ১৪টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল সেট উৎপাদন করছে। এসব কারখানায় এখন ৪জি মোবাইল সেটও তৈরি হচ্ছে। ফলে আমাদের মোবাইল সেট আমদানির প্রয়োজন নেই।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোস্তাফা জব্বার।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৮৯ সালে মোবাইল ফোন যুগে প্রবেশ করে। সে সময়ে মনোপলি ব্যবসার কারণে মোবাইল ছিল সাধারণের নাগালের বাইরে। ১৯৯৭ সালে চারটি অপারেটরকে মোবাইল ফোন পরিচালনার লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে মোবাইল সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে ৩জি চালু করা হয়। এ সময়ে মোবাইল প্রযুক্তি কেবল কথা বলার কাজেই ব্যবহার হতো। এরপর ২০১৮ সালে ৪জি চালু হবার পর আমরা প্রকৃত মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করলাম।

তিনি জানান, মাঝে এক বছর করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থাকা সত্ত্বেও গত তিন বছরে দেশের মোবাইল অপারেটররা দেশব্যাপী ৪জি সম্প্রসারণ করেছে। এর ব্যবহারের পরিধি বাড়াতে সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নেবে।

মোবাইল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে মন্তব্য করেন তিনি বলেন, ৪জি চালুর ধারাবাহিকতায় গ্রামীণ ফোনের শতভাগ ও রবির ৯৮ ভাগ বিটিএস ৪জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। টেলিটক ও বাংলালিংক শিগগিরই শতভাগ বিটিএস ৪জি নিশ্চিতে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে তিনি করোনাকালে দেশের প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে শতভাগ বিটিএস ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য অপারেটরগুলোকে তাগিদ দেন। এ সময়ে মন্ত্রী করোনার সময় নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার জন্য মোবাইল অপারেটরগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, দেশের শতকরা ৭০ ভাগ করোনা রোগী ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘরে বসে চিকিৎসা নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে জিএসএমএ নেতারা মোবাইল ফোন বিকাশে বাংলাদেশের অবস্থান, ভবিষ্যৎ করণীয়সহ নানা বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন। তারা ডিজিটাল দক্ষতা ও সচেতনতা তৈরিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের তথ্য তুলে ধরেন। 

গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন বিটিআরসি, টেলিটক, রবি, বাংলালিংক ও এমটব প্রতিনিধি, আইটিইউয়ের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি এবং এটুআইয়ের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন জিএসএম কর্মকর্তা রাহুল শাহ ও জুলিয়ান গরমেন।

একে/ওএফ