বাসযাত্রায় অন্যরকম ঢাকা
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে আজ থেকে গণপরিবহনগুলোকে বিশেষ কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হচ্ছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় নিয়মটি হচ্ছে বাসগুলোকে ৫০ শতাংশ আসন খালি রাখতে হবে। আর এ নিয়মের ফলে বহু যাত্রীকে লম্বা সময় বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
দুপুর ১২টার দিকে উত্তরা রাজলক্ষী ওভারব্রিজের নীচে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন মো. খলিলুর রহমান। তিনি জানালেন, প্রায় ২০ মিনিট বাসের অপেক্ষা করেও গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেননি তিনি। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, বনশ্রী যাবো। কিন্তু বাস পাচ্ছি না। দু’একটা পাচ্ছি, তারা নিচ্ছে না। একটু দ্রুত যাওয়া দরকার। এ রকম পরিস্থিতিতে আগে কখনও পড়তে হয়নি। এখানে দাঁড়ানোর সাথে সাথে বাসে উঠতে পেরেছি।
বিজ্ঞাপন
শুধু খলিলুর রহমান নন, অনেকেই আজ সময় মতো বাসে উঠে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হতে পারছেন না। উত্তরা এলাকার আজমপুর, জসিম উদ্দিন, রাজলক্ষী, বিমানবন্দর এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
বিমানবন্দর এলাকায় রাজিব নামে এক যাত্রী বাসের অপেক্ষায় প্রায় ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বললেন, এখানে দাঁড়ানোর সাথে সাথেই বাসে ওঠা যেত। যাত্রী ওঠানোর জন্যে বাসের জটলা লেগে থাকতো। কিন্তু আজ একেবারেই ভিন্ন চিত্র। চেষ্টা করছি, কিন্তু বাসে উঠতে পারছি না।
রাজিব বলেন, আমি গুলিস্তানে যাবো। গুলিস্তান যাওয়ার বাস বিমানবন্দরে অনেক পাওয়া যায়। কিন্তু আজ ১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছি, এখনও রওনা হতে পারিনি।
৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে চলাচলের নির্দেশনার আলোকে সরকারের তরফ থেকে বাসগুলোর ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর কথা বলা হলেও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। রাইদা পরিবহনে আগে উত্তরা থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত নেওয়া হতো ১৫ টাকা। এখন তারা ৩০ টাকা করে নিচ্ছে।
রাজলক্ষী থেকে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বিমানবন্দরে নেমে আহমেদ আলী বলেন, বাসের কন্ডাক্টর যে নিয়ম বলছে সেই নিয়মেই চলতে হচ্ছে। নইলে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। গন্তব্যে পৌঁছানো আর হবে না।
আজ অধিকাংশ বাসের দরজাই বন্ধ করে চলতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে যাত্রীর তোলার প্রবণতাও ছিল কম। আবার কোনো কোনো বাস চলেছে বেশি যাত্রী নিয়েই।
একে/এনএফ