খালাসি নিয়োগে অনিয়ম, আসামি রেলওয়ের জিএমসহ ১২
কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে বয়স্ক ও অযোগ্য ব্যক্তিদের খালাসি হিসাবে নিয়োগ দিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামি হলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের দুই মহাব্যবস্থাপকসহ ১২ জন। এসএ পরিবহনের মাধ্যমে এক কোটি দুই লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের প্রমাণও মিলেছে দুদকের অনুসন্ধানে।
বুধবার (৩১ মার্চ) দুদকের চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে রেলওয়ের নিয়োগ দুর্নীতির মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্র ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞাপন
মামলার আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্ব) সাবেক মহাব্যবস্থাপক ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) সৈয়দ ফারুক আহমদ, মহাব্যবস্থাপক( প্রকল্প) ও খালাসি নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও খালাসি নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব জোবেদা আক্তার, টিএসও (পূর্ব) ও খালাসি নিয়োগ কমিটির সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, রেলওয়ের চট্টগ্রাম অফিসের এমএলএসএস হারাধন দত্ত, ঢাকার শাহজাহানপুর রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া সুলতানা, একই অফিসের অফিস সহকারী মো. আক্তার হোসেন, নিয়োগপ্রাপ্ত খালাসী মো. আবুল বশর খান, সিপিও (পূর্ব) দপ্তরের প্রধান সহকারী খন্দকার সাইফুল ইসলাম (মামুন), টিকিট প্রিন্টিং প্রেস কলোনি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সচিব মৃণাল কান্তি দাশ এবং দুই দালাল মেসার্স ফাতেমা এন্টারপ্রাইজের মালিক আমিরুজ্জামান আশীষ ও মেসার্স প্রান্ত শাস্ত এন্টারপ্রাইজের মালিক পারভীন আক্তার।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আওতায় চট্টগ্রামে ৮৬৩ জন খালাসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকের মার্কশিট নেই। অনেকের বয়স ৪০ ঊর্ধ্ব হওয়া সত্ত্বেও বয়স কমিয়ে জাল কাগজ তৈরি করা, জাল মার্কশিট তৈরি করাসহ বিভিন্ন জাল নথিপত্র ব্যবহার করে ১৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দন্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১৬৩/১০৯ ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে আসামিরা ১ কোটি দুই লাখ ৪৪ হাজার টাকা এস এ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করেছেন, যার সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
খালাসি নিয়োগের দুর্নীতিতে আরও মামলা হতে পারে বলেও দুদকের চট্টগ্রাম অফিস সূত্রে জানা গেছে।
কেএম/আরএম/আরএইচ