ভোটার তালিকা বিধিমালা সংশোধন করেছে ইসি
নির্বাচন কমিশন
ভোটার তালিকা বিধিমালা-২০১২ সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার (৩১ মার্চ) ইসির ওয়েবসাইটে এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে ইসি জানায়, ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ (২০০৯ সনের ৬ নম্বর আইন) এর ধারা ১৬-এ দেওয়া ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা বিধিমালা-২০১২ এর অধিকতর সংশোধন করেছে। এই বিধিমালার বিধি ২৭ এর উপ-বিধি (১) এর ‘২ জানুয়ারি হইতে ৩১ জানুয়ারি’ সংখ্যাগুলো ও শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘২ জানুয়ারি হইতে ২ মার্চ’ সংখ্যা ও শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ অনুযায়ী, কোনো ভোটার এলাকা বা নির্বাচনী এলাকার রেজিস্ট্রেশন অফিসার, কমিশনের তত্ত্বাবধান, নির্দেশন এবং নিয়ন্ত্রণাধীনে ওই ভোটার এলাকা বা নির্বাচনী এলাকার জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি খসড়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবেন। যেখানে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে যিনি যোগ্যতা অর্জনের তারিখে- বাংলাদেশের একজন নাগরিক হবেন, বয়স ১৮ বছর হবে, আদালতে অপ্রকৃতিস্থ বলে ঘোষিত না হওয়া, ওই ভোটার এলাকা বা ক্ষেত্রমতো নির্বাচনী এলাকার অধিবাসী বা অধিবাসী বলে গণ্য হবেন।
এছাড়া উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রণীত খসড়া ভোটার তালিকা, তৎসম্পর্কে দাবি এবং আপত্তি আহ্বানকারী একটি নোটিশসহ নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রকাশ করা হবে। রেজিস্ট্রেশন অফিসার নির্ধারিত পদ্ধতিতে খসড়া ভোটার তালিকায় এমন সংযোজন, পরিবর্তন বা সংশোধন করবেন, যা কোনো দাবি বা আপত্তির ওপর সিদ্ধান্তের ফলে প্রয়োজনীয় হতে পারে বা কোনো লিখন, মুদ্রণ বা অন্য কোনো প্রকার ত্রুটি সংশোধনের জন্য আবশ্যক হতে পারে। উপ-ধারা (৩) এর অধীন সংযোজন, পরিবর্তন বা সংশোধন যদি থাকে, করার পর রেজিস্ট্রেশন অফিসার নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোনো ভোটার এলাকা বা নির্বাচনী এলাকার জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবেন। প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকাগুলো ওই ভোটার এলাকা বা নির্বাচনী এলাকার জন্য ভোটার তালিকা বলে গণ্য হবে। এবং উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বিজ্ঞাপন
এসআর/এসএসএইচ