মানিক চন্দ্র দে। লেখালেখির শুরু সত্তর ও আশির দশকে ছাত্রজীবন থেকে। এবার মেলায় তার চারটি বই প্রকাশিত হয়েছে। 

পুথিনিলয় প্রকাশ করেছে কবি জীবনানন্দ দাশের ওপর মানিক চন্দ্র দে’র গবেষণামূলক বই ‘সিন্ধু থেকে লাশকাটা ঘর’ এবং কাব্যগ্রন্থ ‘সীমান্তরেখা’। বিভাস প্রকাশন থেকে বের হয়েছে আত্মজীবনীমূলক বই ‘ঘাটে ঘাটে খেয়াতরী’ এবং ‘নির্বাচিত কবিতা’।

‘সিন্ধু থেকে লাশকাটা ঘর’ বইটিতে কবি জীবনানন্দ দাশের জীবনকথা, তার সহজ ভাষার দুর্বোধ্য কবিতাগুলোকে লেখক মানিক চন্দ্র দে গল্পের মোড়কে সহজসরল ভাষায় বিশ্লেষণ  করেছেন। আর ‘সীমান্তরেখা’ মূলত কবির ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে এই করোনাকাল পর্যন্ত সময়ের লেখা বেশ কিছু কবিতার সংকলন।

‘ঘাটে ঘাটে খেয়াতরী’ স্মৃতিচারণমূলক বই। এতে লেখক তার ছাত্রজীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে ‘নির্বাচিত কবিতা’ মূলত সীমান্তরেখা কাব্যগ্রন্থের কিছু ভালো কবিতা আর পরবর্তী সময়ে লেখা কিছু কবিতা নিয়ে সাজানো কাব্যগ্রন্থ।

বইগুলো প্রসঙ্গে মানিক চন্দ্র দে বলেন, কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতার ভেতরই পাঠক খুঁজে পাবেন মানুষের অন্তর্গত ও বাহ্যিক জীবনের বৈপরীত্য, খুঁজে পাবেন আনন্দ-বেদনা, প্রেম ও প্রকৃতির প্রতি কবির অপরিসীম ভালবাসার প্রতিচ্ছবি ভিন্ন আঙ্গিকে। আর বাকি দুই বইয়ের মধ্যে ‘সিন্ধু থেকে লাশকাটা ঘর’ বইয়ে কবি জীবনানন্দ দাশের সম্পর্কে নানা তথ্য রয়েছে৷  ‘ঘাটে ঘাটে খেয়াতরী’ স্মৃতিচারণমূলক বইয়ে একজন আটপৌঢ়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের বেড়ে ওঠার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। 

এএইচআর/এইচকে