বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনে ট্রান্সপোর্ট কানেক্টিভিটি চূড়ান্ত করতে মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার (৩১ মার্চ) বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জ্যেষ্ঠ অফিশিয়াল মিটিং (এসওএম) অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বিশেষ সেশন শেষে এই তথ্য জানানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিমসটেক জোটের ১৭তম পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আলোচনার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। বৈঠকে চলতি বছরে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পঞ্চম বিমসটেক সম্মেলনের ঘোষণার খসড়াও প্রস্তুত করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ও শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনে ট্রান্সপোর্ট কানেক্টিভিটি চূড়ান্ত করতে মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুত করা হয়েছে।

ভার্চুয়াল বৈঠকে চার সদস্য নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। সঙ্গে ছিলেন সার্ক ও বিমসটেক অতিরিক্ত সচিব মো. শামসুল হক। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রসচিব অ্যাডমিরাল প্রফেসর জায়ানাথ কলমবেগ।

বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন আসিয়ান ও সার্কের সদস্যভুক্ত সাতটি রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত বিমসটেক জোট রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নয়নে জোর দেন। সংগঠনটিকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে ঢাকা প্রস্তুত বলে বৈঠকে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

মাসুদ বিন মোমেন বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বিমসটেক সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর বিভিন্ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি সংগঠনটির যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলো একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

বিমসটেক হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড চারটি দেশ নিয়ে ১৯৯৭ সালের ৬ জুন বিমসটেকের যাত্রা শুরু হয়। তখন সংস্থাটির নাম ছিল বিআইএসটি-ইসি। সংস্থাটি চালুর ছয় মাসের মাথায় মিয়ানমার এতে অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিতীয় বৈঠকে নেপালকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে নেপাল ও ভুটানকে সংগঠনটির পূর্ণ সদস্যের পদ দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে সংগঠনের প্রথম আনুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা সংগঠনটির নাম পরিবর্তনের পক্ষে মত দেন। এরপর সংগঠনটি বিমসটেক নামে পরিচিত।

এনআই/ওএফ