অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: চূড়ান্ত অনুমোদনে উঠছে মঙ্গলবার
সংগৃহীত ছবি
>> এক কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থান
>> ৭০.০৫ বিলিয়ন রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা
>> প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮.৫১ শতাংশ
বিশাল কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে অষ্টম (২০২১-২৫) পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। আগামী মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় পরিকল্পনাটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পনাটি প্রণয়ন করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।
বিজ্ঞাপন
জিইডি’র পরিকল্পনার খসড়ায় দেখা গেছে, চলতি সময় থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এক কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার তুলনায় ১০ লাখ কমছে কর্মসংস্থান। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় গত পাঁচ বছরে (২০১৬-২০) মোট কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ছিল এক কোটি ২৯ লাখ। এর মধ্যে দেশে এক কোটি নয় লাখ ও বিদেশে ২০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য ছিল। পাঁচ বছর শেষে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি, কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে ৯৫ লাখ। এর মধ্যে দেশে ৬০ লাখ ও প্রবাসে ৩৫ লাখ।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এক কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তার মধ্যে প্রবাসে ৩৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। বাকি ৮১ লাখ ৭০ হাজার দেশে। এই পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২১ সালে ২১ লাখ ৬০ হাজার, ২০২২ সালে ২২ লাখ ৩০ হাজার, ২০২৩ সালে ২৩ লাখ ৩০ হাজার, ২০২৪ সালে ২৪ লাখ ২০ হাজার এবং ২০২৫ সালে ২৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
বিজ্ঞাপন
খসড়ায় দেখা গেছে, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে ৭০ দশমিক ০৫ বিলিয়ন টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা রয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্য রয়েছে ৯ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন, ২০২১ সালে ১০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন, ২০২২ সালে ১১ দশমিক ১০ বিলিয়ন, ২০২৩ সালে ১২ বিলিয়ন, ২০২৪ সালে ১২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন এবং ২০২৫ সালে ১৪ দশমিক ০৭ বিলিয়ন টাকা।
এছাড়া প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে বলা হয়েছে, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। করোনা মহামারির ফলে অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির বিষয়ে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, ৫ দশমিক ২ শতাংশ, ৪ দশমিক ৯ শতাংশ এবং সবশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি হবে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, করোনার কারণে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অনেক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। যেগুলো অর্জন হয়নি সেগুলো অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে বেকারদের কর্মসংস্থানে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। আগামী মঙ্গলবার পরিকল্পনাটি এনইসি সভায় উপস্থাপন করা হবে।
এসআর/এইচকে/এমএআর