এক ডাবের দাম ১০০ টাকা
গরমের কারণে বাড়ছে ডাবের কদর/ ছবি- ঢাকা পোস্ট
রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে ভ্যান গাড়িতে বিক্রি হচ্ছে ডাব। ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে ডাব বিক্রি হতে দেখে রঞ্জু নামের এক পথচারী এগিয়ে গিয়ে ডাবের দাম জিজ্ঞেস করলেন। বিক্রেতা যখন একটি ডাবের দাম চাইলেন ১০০ টাকা, তা শুনে পথচারী রঞ্জুর তো কপালে উঠল চোখ!
পথচারী রঞ্জু বলেন, ‘কোন দেশে আছি ভাই, এক ডাব কিনতে হবে ১০০ টাকায়।’ উত্তরে ডাব বিক্রেতা হায়দার আলী বললেন, ‘বাজারে ডাবের আমদানি কম, কিনতে হচ্ছে আগের তুলনায় বেশি টাকায়। যে কারণে বাধ্য হয়েই বেশি দামে ডাব বিক্রি করতে হচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
রাজধানীতে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে ডাবের দাম। কয়েক দিন ধরে তীব্র গরমে ডাবের চাহিদা বেড়েছে, সেইসঙ্গে বেড়েছে দাম। একটি ডাবের দাম দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকায়। তবে দাম বাড়লেও কদর কমেনি ডাবের। কর্মক্লান্ত শরীরে সতেজতা ফিরিয়ে আনতে উপকারী সুস্বাদু পানীয় হিসেবে বেশি দামেই ডাব কিনছেন পথচারী, ক্রেতারা।
তবে হঠাৎ কেন ডাবের দাম এত বেশি? এ বিষয়ে গুদারাঘাট সংলগ্ন সড়কে ডাব বিক্রেতা মকিদুর রহমান বলেন, ‘রাজধানীতে ডাবের সরবরাহ আগের তুলনায় অনেক কম। পাশাপাশি অতিরিক্ত গরমের কারণে ডাবের চাহিদা বেশি। আমরা বাজারে গিয়ে ডাবের যোগান পাই না, আগের তুলনায় ডাব আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এসব কারণে খুচরা বাজারে ডাবের দাম বেড়ে গেছে। ভালো মানের একটি ডাব বিক্রি করছি ১০০ টাকায়। এই ডাব পাইকারী বাজারে কিনতে হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য আরও সব খরচ তো আছেই। বৃষ্টি হলে বা আর কিছুদিনের মধ্যে নতুন ডাব উঠলে দাম আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
বিজ্ঞাপন
রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ ডাবের দোকানে ডাব কিনছিলেন তৃষ্ণার্ত পথচারী জুবায়ের আল হাসান। তিনি বলেন, ‘ডাবের দাম শুনে অবাক হতে হচ্ছে। এক ডাব ১০০ টাকাই দাম, একটুও কম রাখবে না দোকানী। বাধ্য হয়েই কিনলাম। ক্রেতাদের বেশি চাহিদা থাকায় নিশ্চয় তারা এভাবে বেশি দামে ডাব বিক্রি করছে। রাজধানীতে ভেজাল ছাড়া মনে হয় এই একটা জিনিসই পাওয়া যায়। আবহাওয়া অতিরিক্ত গরম ইদানিং, তাই পথ চলতে গেলে তৃষ্ণার্ত হতে হয়।’
যে কারণে ১০০ টাকা একটি ডাবের দাম হলেও, তৃষ্ণা মেটাতে বাধ্য হয়েই ডাব কেনে পথচারী সহ অন্যান্যরা। গরমের কারণে প্রতিদিনই রাজধানীতে বাড়ছে ডাবের পানির কদর। পথেঘাটে পিপাসা নিবারণের জন্য সচেতন মানুষ বেছে নিচ্ছেন ডাবের পানি।
ক্রেতাদের মতে, ‘রাজধানীতে যত পানীয় পাওয়া যায় তার মধ্যে ডাবের পানিই সবচেয়ে নিরাপদ। সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সমৃদ্ধ ডাব বারো মাস পাওয়া গেলেও গরমকালে এর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।’
এএসএস/এইচকে