চট্টগ্রামে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রোগীর চাপে খালি পাওয়া দুষ্কর আইসিইউ শয্যা। সাধারণ শয্যাও ফাঁকা পাওয়া মুশকিলের পথে। 

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কোডিড ইউনিটের  প্রধান ডা. মো. আব্দুর রব ঢাকা পোস্টকে  বলেন, ফেব্রুয়ারির তুলনায় চট্টগ্রামে রোগী বেড়েছে চারগুণ। শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালের আগে হাসপাতালটির ১০ শয্যার আইসিইউতে কোনো শয্যা ফাঁকা ছিল না। সকালের পর রোগী ভর্তি আছেন ৮ জন। আর ১৪০ শয্যার সাধারণ শয্যায় রোগী আছেন ৭১ জন। ফেব্রুয়ারির দিকে আইসিইউতে রোগী থাকতে তিন থেকে চারজন। 
 
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে শনিবার (৩ এপ্রিল) পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ২৬৮ জন। যা মার্চের ১ তারিখ পর্যন্ত ছিল ৩৪ হাজার ৯৯৯ জন। অর্থাৎ ১ মাস তিনদিনে চট্টগ্রামে রোগী বেড়েছে ৬ হাজার ২৬৯ জন। চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৩৮৯ জন। মার্চের ১ তারিখে এ সংখ্যা ছিল ৩৭৫ জন।  
 
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০০ জন করোনা রোগীকে সেবা দেওয়ার শয্যা আছে হাসপাতালটিতে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত রোগী ভর্তি আছেন ১৭০ জন। আর ১০ শয্যার আইসিইউতে রোগী ভর্তি আছেন ছয়জন।
 
চট্টগ্রাম মা ও  শিশু হাসপাতালে করোনা শয্যা আছে ৯৫টি। শনিবার সকাল পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৯০ জন। হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালের আইসিইউ এবং এইচডিইউ মিলে শয্যা আছে ১৬টি, যার সবকটিতেই রোগী আছেন। 

তিনি বলেন, অবস্থা এমন হয়েছে যে, একটি সিট খালি হতে হতে কয়েকজন আইসিইউের অপেক্ষায় থাকেন। আমরা করোনা রোগীদের চাপ বাড়ার কারণে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছি। 

চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল পার্ক ভিউয়ের ডিজিএম মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা আছে ১০টি। সবকটিতেই রোগী আছেন। সাধারণ শয্যার ৬০টিতে রোগী আছেন। করোনা আক্রান্ত আরও ১৫ থেকে ২০ জন অপেক্ষমাণ রয়েছেন হাসপাতালে ভর্তির জন্য। একই অবস্থা নগরীর বেসরকারি অন্য হাসপাতালগুলোর।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় করোনার বিষয়ে চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে থাকা সরকারিভাবে প্রস্তুত হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল  প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানেও ১০টি আইসিইউ শয্যা আছে। জেনারেল হাসপাতাল রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেলে হলি ক্রিসেন্টে রোগী ভর্তি করা হবে। জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সেখান থেকে প্রয়োজনে রোগী হলি ক্রিসেন্টে পাঠানো হবে। 

কেএম/এইচকে