রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না করোনার স্বাস্থ্যবিধি। দায়সারাভাবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মানলেও যাত্রীরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। অনেকের মুখে সঠিক স্থানে নেই মাস্ক। আর সামাজিক দূরত্বের দেখাই মিলছে না।
 
শনিবার (৩ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, লঞ্চের ডেকে ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে ও শুয়ে রয়েছেন যাত্রীরা। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা মাইকে জানালেও কঠোরতা নেই। কর্তৃপক্ষ হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখলেও সঠিকভাবে তা ব্যবহার করতে দেখা যায়নি কোনো যাত্রীকেই। 

চাঁদপুরগামী লঞ্চের যাত্রী সৈয়দ আবুল কালাম বলেন, গরমে মাস্ক পরতে অসুবিধা। অনেকেই মাস্ক পরলেও তা সঠিকভাবে মুখে দিচ্ছেন না। কোনো সামাজিক দূরত্ব নাই। আমি একা সচেতন হয়ে কী করব? 

চাঁদপুরের মতলবগামী গ্রিন ওয়াটার ৭ এর কর্মচারী মো. সিরাজউদ্দীন বলেন, আমরা সবাইকে বলেছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। কিন্তু কেউ মানছেন না। যাত্রীরা আমাদের কথা শুনছেন না। যাত্রীদের মধ্যে স্বাভাবিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে আমরা লাল দাগ দিয়ে সীমারেখা তৈরি করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপপরিচালক এহতেশামুল পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্যে আমরা টার্মিনালে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট গত ২ দিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন। সামনের দিনেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে পারেন। আমি নিজেও আনসার, নৌ পুলিশ নিয়ে সকালে পুরো ঘাট এলাকায় পরিদর্শন করেছি। লকডাউনে লঞ্চ চলাচল নিয়ে সরকার যে পদক্ষেপ নেয়, আমরা সেটি বাস্তবায়ন করব।  

সদরঘাটে সিটি করপোরেশন হকার্স মার্কেটের সামনের সড়কে মানুষের ভিড় 

এদিকে পুরান ঢাকার সূত্রাপুর বাজার, সদরঘাট, বাদামতলী, ইসলামপুর, বাবুবাজার, শাঁখারীবাজার সহ আশেপাশের এলাকায় অনেক ভিড় লক্ষ করা গেছে। মাস্ক ও সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। মানুষের ভিড়ে স্বাভাবিকভাবে হাঁটা-চলাও দায় হয়ে পড়েছে। পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে থেকে সাভার, মিরপুর, গাজীপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করা বাসগুলোতে সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। 

আরএইচ