ঢাকায় মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) নবম নিরাপত্তা সংলাপে বস‌ছে বাংলা‌দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। সংলা‌পে নিরাপত্তা ইস্যুসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চ‌লে সহ‌যো‌গিতা নি‌য়ে আলোচনা হ‌বে।

সংলা‌পে ঢাকার প‌ক্ষে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দে‌বেন উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম। অন্যদি‌কে ওয়া‌শিংট‌নের প‌ক্ষে নেতৃত্ব দে‌বেন মা‌র্কিন রাজনৈতিক সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক।

ঢাকার মা‌র্কিন দূতাবাস থে‌কে প্রাপ্ত তথ্য বল‌ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল আঞ্চলিক উন্নয়ন, মানবাধিকার, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে আলোচনা করবে। 

কূট‌নৈ‌তিক সূত্রগু‌লো বল‌ছে, সংলা‌পে নিরাপত্তা ইস্যুর বা‌ইরে যুক্তরা‌ষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফের‌তের বিষয়‌টি তুল‌বে ঢাকা। পাশাপা‌শি রো‌হিঙ্গা‌দের কার‌ণে আঞ্চলিক হুম‌কিসহ বৈ‌শ্বিক প্রেক্ষাপ‌টে রো‌হিঙ্গা সমস্যার সমাধান নি‌য়েও আলোচনা হ‌তে পা‌রে। এছাড়া দুই দে‌শের ম‌ধ্যে আলোচনাধীন প্রতিরক্ষা‌বিষয়ক জিসোমিয়া ও আকসা চু‌ক্তি নি‌য়েও পর্যা‌লোচনা হ‌বে ব‌লে ধারণা করা হ‌চ্ছে।

মা‌র্কিন দূতাবাস বল‌ছে, উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আলোচনা কর‌বে। এ সংলাপ আমাদের দুই সরকারের মধ্যেকার সর্বাঙ্গীণ নিরাপত্তা সম্পর্কের অংশ।

মা‌র্কিন দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিষয়ক অংশীদারিত্ব অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের দুইটি দেশের স্বার্থ অভিন্ন। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত, অবারিত, শান্তিপূর্ণ এবং সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে দেশ দুইটির দৃষ্টিভঙ্গি একই ধরনের। এই পারস্পরিক লক্ষ্যগুলো অর্জনে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের সংলাপ আয়োজিত হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছর ওয়া‌শিংট‌নে অষ্টম নিরাপত্তা সংলাপ ক‌রে‌ছিল উভয়পক্ষ।

এনআই/এমএ