করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ আছে। 

অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় প্রথমদিনে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দ্বিতীয় দিনেও সেই একই চিত্র দেখা যায়।  

আজ (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে দাঁড়িয়েছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী জুবায়ের আল হাসান। তিনি বলেন, অফিসের কাজে পল্টন যাব, কিন্তু এক ঘণ্টা হলো অপেক্ষা করছি, সিএনজি, রিকশা, ক্ষ্যাপের মোটরসাইকেলের অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে যেতে পারছি না। অফিস খোলা রেখে লকডাউন বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা ছাড়া আর কিছুই না। সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে এমন সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হলো এটা কোনোভাবেই বুঝতে পারছি না। বন্ধ হলে সব কিছুই বন্ধ থাকতে হবে, আমাদের অফিস খোলা কিন্তু যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা নেই, এটা কোনো সিদ্ধান্ত হলো?

এদিকে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীতে কোনো গণপরিবহণ চলাচল করতে দেখা যায়নি। প্রতিটি মোড়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অফিসগামী বা কাজে বের হওয়া মানুষদের। বাস না চলায় গন্তব্যে পৌঁছাতে মানুষকে নির্ভর করতে হয়েছে মূলত সিএনজি ও রিকশার ওপর। এছাড়া ভাড়া মিটিয়ে অনেকে মোটর সাইকেলেও গেছেন।  

অলিগলির দোকানগুলো খোলাই দেখা গেছে। শপিং মলগুলো বন্ধ থাকলেও প্রধান সড়কের পাশের বেশিরভাগ দোকানই খোলা দেখা গেছে। বেচাবিক্রি সবই চলছে এসব দোকানে। 

রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় সাজ্জাত হোসেন নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বললেন, এ কেমন নিষেধাজ্ঞা? অফিস খোলা রেখে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া সাধারণ মানুষের সঙ্গে রসিকতা ছাড়া আর কিছুই না। সব খোলা রেখে সংক্রমণ এড়ানো কীভাবে সম্ভব? একটু আগে দেখা এলাম পাড়ার চায়ের দোকানে গাদাগাদি করে বসে চা খাচ্ছে, আড্ডা দিচ্ছে। আর গণপরিবহন বন্ধ রেখে, অফিস খোলা রাখার কারণে অফিসের কাজে বের হয়ে আমাদের হেঁটে অথবা দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে সিএনজি বা রিকশায় যেতে হচ্ছে।

রাজধানীর বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীবাহী কোনো বাস চলাচল করছে না। যারা বাইরে বের হয়েছেন যাতায়াতের জন্য তারা সিএনজি চালিত অটোরিকশা বা রিকশা ব্যবহার করছেন। অন্যদিকে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধ থাকলেও চুক্তিভিত্তিক মোটরসাইকেল চলাচল করছে শহরের এই প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

এএসএস/এনএফ