ঢাকার বাইরে যেতে প্রাইভেট কারই ভরসা
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। আজও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘরে ফেরা মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকার বাইরে যেতে প্রাইভেট কারই একমাত্র ভরসা। অনেকেই গাড়ি ভাড়া করে ছুটছেন গন্তব্যে। মঙ্গলবার গাবতলী, মিরপুর-১,টেকনিক্যালে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
গাবতলী থেকে আরিচা পর্যন্ত বাসে যেখানে ভাড়া ৯০ টাকা, সেখানে প্রাইভেট কারে জনপ্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দিয়ে মানুষ যাচ্ছেন।
গাবতলী গিয়ে দেখা যায় কিছু সংখ্যক যাত্রী আরিচা যাওয়ার জন্য বাস টার্মিনালের আশপাশে ঘোরাফিরা করছেন। বাস কাউন্টারের সামনে থেকে প্রাইভেট কারে যাত্রী আনা-নেওয়া করা হচ্ছে আরিচা-পাটুরিয়া পর্যন্ত। এতে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে পাঁচ থেকে দশ গুণ।
বিজ্ঞাপন
পাটুরিয়া যাওয়ার জন্য গাবতলীতে অপেক্ষায় থাকা যাত্রী মোহাম্মদ রফিক হোসেন বলেন, লকডাউনের কারণে অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছে। তাই ঢাকায় থেকে কী করবো? এজন্য আমার বাড়ি মাগুরা যাচ্ছি। কিন্তু কোনো পরিবহন না চলায় খুব ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এখানে এসে দেখি কিছু প্রাইভেট কার পাটুরিয়া যাচ্ছে যাত্রী নিয়ে। কিন্তু ভাড়া চাচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। গাবতলী থেকে আরিচা ৫০০ টাকা কীভাবে হয় বলেন?
তিনি বলেন, করোনার লকডাউনে প্রাইভেটকার চালকরা আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে। শুধুমাত্র প্রাইভেটকার চালক না, আসার সময় সিএনজি চালক কয়েক গুণ বেশি ভাড়া নিয়েছে। যেখানে দেড়শ টাকার ভাড়া সেখানে সিএনজি চালককে সাড়ে ৩০০ টাকা দিয়ে আসতে হয়েছে।
অপর এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু প্রাইভেটকারগুলোতে অর্ধেকের জায়গায় দ্বিগুণ যাত্রী তুলছে, আবার ভাড়াও নিচ্ছে অনেক বেশি। কিছু বলতেও পারছি না। কারণ, আমাদের যেতেই হবে।
একজন গাড়িচালকের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, লোকজনের ভেতর অনেক ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় গাড়ি বের করেছি। তাছাড়া ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে গেলেও আসার সময় কোনো যাত্রী পাওয়া যায় না, খালি আসতে হয়। তাই যাওয়ার সময় একটু বেশি নিচ্ছি।
এসআর/এনএফ