সংস্কৃতিকে সর্বমহলে সহজবোধ্য করতে প্রযুক্তির অবদান রয়েছে
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সংস্কৃতিকে সবার কাছে সুগম করে তোলার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিশাল অবদান ও সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্কৃতির শক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে আমাদের সমাজকে রূপান্তরিত করার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশ ও প্রসার ঘটাতে হবে। এটি করার সময় আমাদের অবশ্যই সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে, যাতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় কেউ যেন বাদ না যায় বা পিছিয়ে না পড়ে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহাতে দুই দিনব্যাপী ১২তম ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেস্কো) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞাপন
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতা সমাজের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যা ব্যবহার করে এ অঞ্চল ও এর আশেপাশে সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং টেকসই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও সহজতর করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও স্থাপনাগুলোর বিকৃতকরণ, ধ্বংস, লুটপাট, অবৈধ বাণিজ্য ও সীমান্ত পাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছে। সেজন্য আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসহ ইসলামী ঐতিহ্যের কার্যকর সুরক্ষা, প্রচার-প্রসার ও সংরক্ষণ নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন এবং পেশাদার সক্ষমতা জোরদারকরণে সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাতারের সংস্কৃতিমন্ত্রী শেখ আবদুল রহমান বিন হামিদ আল থানি। তাছাড়া ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা গেস্ট অব অনার হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
ওএফএ/কেএ