নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফোরাম অব দ্য ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়াকে (ফেমবোসা) অক্টোবরে ভোট পর্যবেক্ষণে আসার আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।

মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফেমবোসা সদস্যদের (আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) দেশ বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের আমরা ইনভাইট করি। আমরা শিগগিরই তাদেরকে ইনভাইট জানাবো। আগামী মাসে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হতে পারে।

মঙ্গলবার বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা জারি করেছে ইসি। নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো দেশের যেকোনো সংস্থা আবেদন করতে পারে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। আমরা চাই দেশি-বিদেশি বেশি সংখ্যক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক। আমরা আশা করি, বিদেশি পর্যবেক্ষেকরা আসবেন। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর কথা জানিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো একটি সংস্থা। পৃথিবীতে তো আরও অনেক দেশ আছে। ইউরোপে অনেক দেশ আছে, এশিয়া, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ায় অনেক দেশ আছে, সার্কভুক্ত দেশে আছে। এসব দেশ থেকে আসতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলেছে পূর্ণাঙ্গ না, ছোট পরিসরে আসতে পারে। পরবর্তীতে হয়তো তারা মনেও করতে পারে বড় পরিসরে আসবে। এটি তো চূড়ান্ত কোনো কথা না।

‘ইইউ যে আসবে না, তাতো তারা বলেনি। তারা হয়তে বলেছে বড় পরিসরে বা ছোট পরিসরে..। মিডিয়াতে আমরা যেটা দেখেছি সেটা হচ্ছে এখনও তিন মাস, সাড়ে তিন মাসের মতো সময় আছে নির্বাচনের। অনেক লম্বা সময়। দুই নম্বর হলো যে আমেরিকা আসবে না সেটি তো বলেনি। আমেরিকা আসলে অবশ্যই আমরা তো খুশি। আমরা তো কাউকে নিষেধ করিনি। আমরা বলেছি আমাদের যে নীতিমালা, আমাদের যে আহ্বান, আমরা তো বলেছি সবাই আসেন। যে সমস্ত যোগ্যতার প্রয়োজন, যে সমস্ত শর্ত আছে, সেগুলো পূরণ করলে সবাই আসতে পারবে।’

এসআর/এমএ