অর্ধেক সিট ফাঁকা রেখে বাস চললেও নেই সুরক্ষা সামগ্রী
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু রাজধানীর অধিকাংশ বাস অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করলেও রাখা হয়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তাছাড়া ট্রিপ শেষে বাসের আসন জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই রাজধানীতে বাস চলাচল শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যাও বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ বাসেই অর্ধেক সিট খালি রেখে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। তবে বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে না। দুয়েকটি বাসের হেলপারের হাতে স্যাভলন মেশানো পানি দেখা গেছে। যা বাসে উঠার আগে যাত্রীর হাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এ স্যাভলন মেশানো পানি করোনা প্রতিরোধে কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার না করায় গণপরিবহনে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, প্রত্যেক যাত্রীই হাতল ব্যবহার এবং আসন ধরে বাসে ওঠানামা করছেন। এতে সহজেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে রবরব পরিবহনের যাত্রী খাইরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রতিটি বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে বলেছে। কিন্তু বেশিরভাগ বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে না। ফলে একই হাতল এবং আসন ধরে প্রত্যেক যাত্রীকে ওঠানামা করতে হচ্ছে। আবার আসনেও জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে করোনার সংক্রমণের মাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পরিস্থান পরিবহনের এক যাত্রী বলেন, বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয় না। স্যাভলনের পানি ছিটানো হচ্ছে। আগের তুলনায় ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি রাখছে পরিবহনগুলো। অথচ সরকারি কোনো নির্দেশনাই তারা মানছে না। সরকারি নির্দেশনা মানলেই করোনার ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত ঢাকা পোস্টকে উল্লাহ বলেন, মালিক সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিটি বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমে দেখলাম অনেক যাত্রী অভিযোগ করছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। যদি কেউ সরকারের দেওয়া নির্দেশনা না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআর/এসকেডি