চালকের মতো যাত্রীর মাথায় মানসম্মত হেলমেট নিশ্চিত করে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ সাপেক্ষে অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান। 

তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যানজট, গণপরিবহন সংকট, পরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী সেবার মান তলানিতে পৌঁছানোর কারণে সময়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং চালু হয়। বর্তমানে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এটি।

এছাড়াও প্রায় ১২ লাখ বাইকার রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক সময়ে সারাদেশে দৈনিক প্রায় ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রী পরিবহন করছে। যানজট, গণপরিবহন সংকটসহ বিভিন্ন কারণে জরুরি যাতায়াতের প্রয়োজনে যাত্রীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠা অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সেবাটি করোনা সংকটে বন্ধ করে দেওয়ায় জরুরি যাতায়াতের যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। অন্যান্য গণপরিবহনের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে এটি বন্ধ থাকায় যাত্রীদের পাশাপাশি এই পেশায় নিয়োজিত চালকেরা নিদারুণ অর্থ সংকটে পড়েছেন। 

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানানো কঠিন হলেও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে এটি মানানো অনেক সহজ। তাই জরুরি ভিত্তিতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ সাপেক্ষে রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালুর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

জেইউ/জেডএস