রাজধানীর উত্তরা সাত নম্বর সেক্টরের সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টারের মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিটের চেষ্টায় বুধবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

সাড়ে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে ভবনের সপ্তম থেকে ১১তলা। সে কথা উঠে এসেছে প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায়ও। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এমন আগুন নিজ চোখে আমি আর দেখিনি।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে ভবনটির সামনের সড়কে উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছেন। কেউ কেউ আবার মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করছেন। অন্যদিকে, ভবনের ভেতরে উৎসুক জনতার প্রবেশ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে। ভবনটিতে যাদের প্রতিষ্ঠান আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শুধু তাদেরই ভবনের ভেতরে যেতে দিচ্ছেন।

মনিরুল ইসলাম নামক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এই বিল্ডিংয়ে ১৭ বছর টানা কাজ করেছি। গত বছর আরেকটা বিল্ডিংয়ে কাজ শুরু করেছি। সকালে যখন শুনেছি আগুন লেগেছে, দ্রুত চলে এসেছি। পুড়ে যাওয়া অংশগুলো দেখে খুবই খারাপ লাগছে।

তিনি বলেন, সকাল ৭টা-৮টার দিকে অনেক মানুষ ছিল, এরপর কিছুটা কমতে থাকে। আমি সকাল থেকেই দাঁড়িয়ে আছি। তারপরও যেতে ইচ্ছে করছে না।

সাইফুল ইসলাম নামের একজন বলেন, এমন আগুন নিজ চোখে আমি আর দেখিনি। রাতেও এখানে ছিলাম, সকালে আবার এসেছি। দেখে খুব খারাপ লাগছে।

তিনি বলেন, রাতে ফায়ার সার্ভিস এলেও ৭তলার আগুনে পানি দেওয়ার মতো তাদের সক্ষমতা ছিল না। এরপর পাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ইউনিট এলে আগুন নেভানোর কার্যক্রম শুরু হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভবনটিতে শপিং মল, রেস্টুরেন্টে থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি কেমিক্যাল এবং পেইন্টের গোডাউনও ছিল। তবে রাতে আগুন লাগায় কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনে ভবনের যে অংশগুলো পুড়েছে সেগুলোতে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসের ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

টিআই/এসএসএইচ