পুলিশের আশ্বাস ‘শুভংকরের ফাঁকি’, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বাস্তবায়নের দাবিতে নীলক্ষেত মোড়ের অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। একই সঙ্গে আগামী রোববার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য পুলিশের প্রস্তাবকে ‘শুভংকরের ফাঁকি’ উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে নীলক্ষেত মোড়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক উর্মী সিদ্দিকা।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সন্ধ্যায় পুলিশ আমাদের অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য যে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল আমরা সেটি প্রত্যাখ্যান করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অথবা গণভবন থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বস্ত না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
তিনি বলেন, এ ধরনের আলোচনার আশ্বাস আমাদের বহুবার দেওয়া হয়েছে। এগুলো শুভংকরের ফাঁকি। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি বাস্তবায়ন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলনকারীরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবে। এতে যদি কেউ মৃত্যুর মুখে পতিত হয় তাহলে সেই দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শাহেন শাহ্ মাহমুদসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা নীলক্ষেত মোড়ে এসে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তাদের দ্রুত এই স্থান ত্যাগ করার জন্য বলেন তারা।
শাহেন শাহ্ মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের সাথে আলোচনা করেই আমরা এই জায়গায় এসেছি। তার পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বার্তা দিয়েছি। জনভোগান্তি ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এই সড়কের অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি আগামী সপ্তাহের কর্মদিবসের প্রথম দিনেই (রোববার) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ আলোচনায় বসব। আমরা আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেছি তারা আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা প্রত্যাশা করি, তারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সড়কের অবরোধ তুলে নেবেন।
উল্লেখ্য, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫, অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধি, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মৃতি বিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল' কমপ্লেক্স (বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল) স্থাপনের দাবিসমূহ বাস্তবায়নের আহবান জানিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন তারা। এসব দাবি আদায়ের জন্য গত ৩০ আগস্ট থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিও পালন করা হয়েছে। সবশেষ গত ২২ অক্টোবর থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করে অবস্থান নেন তারা। পরে আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় শাহবাগ থানা পুলিশ। এরপর রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে নীলক্ষেত মোড়ে এসে ৪টা ৪৫ মিনিটে অবরোধ করেন তারা।
আরএইচটি/এসকেডি