জান, মাল এবং তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারা একজন ব্যক্তির মৌলিক অধিকারগুলোর একটি। যা বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী এই অধিকার লঙ্ঘনের একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল পৃথিবীতে নিত্যনতুন উপায়ে এই মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর আদাবর ডিএসকে মিলনায়তনে তথ্য সুরক্ষার অধিকার নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বেসরকারি সংস্থা ভয়েসের আয়োজিত এ সভায় একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীরা। তথ্য সুরক্ষার অধিকারের পাশাপাশি তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার প্রতিবন্ধকতা নিয়েও আলোচনা করা হয়।

সভায় বক্তারা দাবি করেন, ডিজিটাল যুগে মানুষের তথ্যের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। নজরদারি থেকে শুরু করে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হরহামেশাই নাগরিকের তথ্যকে তাদের সুবিধামতো ব্যবহার করছে।

সভায় ভয়েসের একাধিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বলে ভয়েস পর্যবেক্ষণ করেছে। বিশেষ করে, সামাজিক কর্মী, সাংবাদিক অথবা নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নাগরিকের ওপরে এটি হাতিয়ার হিসেবে প্রায়শই ব্যবহার হয়।

এ বিষয়ে ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ ও দাবি এখনো একই আছে। আর তাই তথ্য ও গোপনীয়তা রক্ষা করে নাগরিক তথ্যকেন্দ্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

একইসঙ্গে পুরো বিষয়টিকে যথাযথ আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।

এমজে