১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের বিধিনিষেধের মধ্যে যাদের একান্তই বাইরে যাওয়া প্রয়োজন হবে তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ পুলিশ। উদ্বোধনের দিন মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকেই পাস আবেদনের হিড়িক পড়েছে। একসঙ্গে এত পাস আবেদনের চাপে হিমশিম খাচ্ছে সদর দফতরের সার্ভার। 

প্রতি মিনিটে আ‌বেদন জমা পড়‌ছে গড়ে দুই হাজারের বেশি। ঘণ্টায় আ‌বেদন জমা পড়ছে গড়ে ১ লাখ ২৫ হাজারের মতো। পুলিশ সদর দফতর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। 

আরও পড়ুন : মুভমেন্ট পাসের জন্য আবেদন করবেন যেভাবে

এই পাসের অপব্যবহার হবে কি-না? জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, মহামারির মধ্যেও কেউ যদি বাইরে বের হওয়ার জন্য প্রতারণা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। 

আইজিপি বলেন, এটা অতি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। এক ফোন নম্বর ও একটি গাড়ির নম্বর প্লেট দিয়ে একবার আবেদন করা যাবে। তবে প্রথমে কতজন এই পাস পাবে এই সংখ্যা নির্ধারণ করা নেই। যে কেউ গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে পাস নিতে পারবে।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বাজার, করোনা টিকার ডেটসহ অতিপ্রয়োজনীয় কাজ থাকলেও বের হওয়া যাবে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী যাওয়ার প্রয়োজন হলেও মুভমেন্ট পাস লাগবে।

আইজিপি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান লকডাউনে মানুষের অনিয়ন্ত্রিত ও অপ্রয়োজনীয় চলাচল রোধে এবং জরুরি বিশেষ প্রয়োজনে যাতায়াত নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ চালু করছে এ পাস। দেশের যেকোনো নাগরিক ওয়েবসাইটের  মাধ্যমে কয়েকটি তথ্য সরবরাহ করে খুব সহজেই এ পাস সংগ্রহ করতে পারবেন। 

আইজিপি বলেন, পাসের জন্য ওয়েবসাইটে গিয়ে শুরুতেই একটি সক্রিয় মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে। আবেদনকারী কোথা থেকে কোথায় যাবেন, তা জানতে চাওয়া হবে। সেইসব তথ্য ধাপে ধাপে প্রদান করতে হবে। এরপর আবেদনকারীর একটি ছবি আপলোড করে ফর্মটি জমা দিতে হবে। জমা দেওয়া ফর্মে আবেদনকারী প্রদত্ত তথ্যাবলীর ভিত্তিতে পাস ইস্যু করা যাবে। ওয়েবসাইট থেকেই পাসটি ডাউনলোড করে সংগ্রহ করা যাবে। চলাচলের সময় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে পাস প্রদর্শন করতে হবে।

এর আগে আজ (১৩ এপ্রিল) সকালে আইজিপি মুভমেন্ট পাসের  কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এআর/এইচকে