রাজধানীর শ্যামপুরের জুরাইনে লতা রানী দাস (৩৭) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় স্বামী তপন দাসকে আটক করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় স্বামীর বাসায় ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী তপন দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের বিয়ের বয়স পাঁচ বছর। একটা সন্তান ছিল, মারা গেছে। এরপর এক বছর ধরে বাবার বাড়িতে ছিল আমার স্ত্রী। পরে আমি উকিল নোটিশ পাঠাই। আমার স্ত্রী অনেক রাগী ছিল। কথায় কথায় আত্মহত্যা করতে যেত। এজন্য তার পরিবারকে বারবার বলেছি। আমার নামে মামলাও দিয়েছিল তারা। পরে সেটা মীমাংসা হয়। স্ত্রী এরপরও আমাকে বারবার হুমকি দেয় আত্মহত্যা করবে বলে। বিষয়টি তার পরিবারকেও জানাই আমি। সবশেষ ১৫-২০ দিন আগে তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠাই। তারপরও সোমবার জোর করে তার দুলাভাই আমার বাসায় তাকে  দিয়ে যায়। আর আজ সে আত্মহত্যা করে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে গেল।

নিহতের ননদ শবিতা রানী দাস জানান, আমার বৌদি অনেক রাগী ছিলেন। কথায় কথায় রেগে যেতেন। দাদাকে একটুও সহ্য করতে পারতেন না। গতকাল তার দুলাভাই আমাদের বাসায় দিয়ে গেল। আর আজ তিনি আত্মহত্যা করলেন।

নিহত লতা রানী দাসের স্বামীর বাসা শ্যামপুরের জুরাইনের ঋষিপাড়ায়। লতা রানী নরসিংদী জেলার সরদ থানার খিদিরপুরের ঋষিপাড়ার মৃত রামচরন দাসের মেয়ে।

ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, শ্যামপুরে এক নারী আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী তপন দাসকে আটক রাখা হয়েছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। শ্যামপুর থানাকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি।

এসএএ/এসএসএইচ