বেশ কয়দিন ধরে আফতাবনগরের চারিদিকে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গিয়েছিল, বিভিন্ন স্থানে ঝুলছিল প্রার্থীর পোস্টার, কিছু দূর পরপর করা হয়েছে প্রার্থী-প্যানেলের পক্ষে প্যান্ডেল, চারিদিকে মাইকে বেজে যাচ্ছিল প্রার্থীর পক্ষের প্রচার-প্রচারণা। মূল সড়ক থেকে অলিগলি পর্যন্ত প্রার্থীদের রঙিন ব্যানার, বিলবোর্ড আর ফেস্টুনে নিজেদের অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতির বার্তা ফুটে উঠেছিল।

এত সব আয়োজন শেষে আজ শুরু হয়েছে আফতাব নগর জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির নির্বাচন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে এখানকার মানুষদের মধ্যে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হলেও সকাল সকাল ভোটার উপস্থিতি কেন্দ্রের বাইরেই বেশি দেখা গেছে। তবে প্রার্থীরা বলছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকবে।

এদিকে সোসাইটির অফিসকে ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে আর এখানে রয়েছে ৫টি বুথ। ভোট কেন্দ্রের দুই দিকেই প্রায় কয়েকশত গজ দূর থেকে মূল সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুই পাশেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটার ছাড়া কেন্দ্রের দিকে কাউকে যেতে দিচ্ছেন না।

ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা কয়েকশত গজ দূরে দুই দিকে দুই প্যানেলের পক্ষ প্যান্ডেল করে দেওয়া হয়েছে, এখান থেকেই ভোটাররা ভোটার নম্বর জেনে কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছেন। আর এই সময়ই এখান থেকে বিভিন্ন  প্রার্থীর পক্ষ থেকে ভোট চাওয়া হচ্ছে।

আফতাব নগর জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটির নির্বাচন উপলক্ষ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী এখানে মোট ভোটার ১ হাজার ৬৮ জন। পুরো এলাকা ‘এ’ থেকে ‘এন’ পর্যন্ত ব্লকে ভাগ করা রয়েছে। নির্বাচনে মোট তিনটি প্যানেল থেকে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে দুটি প্যানেল পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী দিয়েছে, আর একটি প্যানেল শুধু সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে তাদের প্রার্থী দিয়েছে। সব মিলিয়ে আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটিতে মোট ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন হাবিব মো. হালিমুজ্জামান। রয়েছেন দুইজন নির্বাচন কমিশনার। তারা হলেন— তোফায়েল আহমেদ এবং নূরুল ইসলাম তালুকদার। তিনটি প্যানেলের মধ্যে ছাতা প্রতীকে আলমগীর ঢালী-এস এম কামাল পরিষদে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদের জন্য ৩৭ জন প্রার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে বাইসাইকেল প্রতীকে ইঞ্জিনিয়ার কামাল-মেজবাহ পরিষদেও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে ৩৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পাশাপাশি মই প্রতীক নিয়ে শুধু সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছে ডক্টর ইউনুস-নুরুল পরিষদ।

নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে জহুরুল ইসলাম সিটি সোসাইটি নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিব মো. হালিমুজ্জামান জানিয়েছিলেন, আমাদের এখানে ভোটার আছে মোট ১০৬৮ জন। তাদের ভোটেই ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ কমিটি নির্বাচিত হবে।

এএসএস/এমএ