মাদকের প্রতীকী ছবি

মাদক মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও যেন মাদক বিক্রি করতে না পারে সে বিষয়ে উপায় খোঁজার প্রস্তাব করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আসামিরা জামিন পেয়ে আবারও মাদক ব্যবসা শুরু করে। এ অবস্থার উত্তরণে তাদের জামিন না দেওয়ার বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়লে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিতে বলেছে কমিটি।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মেহাম্মদ বলেন, জামিন পাওয়া সকলের আইনি অধিকার। কারো জামিন বন্ধ করতে আমরা বলতে পারি না। তবে জামিনে মুক্ত হয়ে অনেকে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এটা কিভাবে বন্ধ করা যায়, তার উপায় খুঁজতে বলেছি। বৈঠকে মাদক বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও শক্ত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কমিটির সভাপতি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, জামিন দিলে তো কিছু করার নেই। এক্ষেত্রে সঠিক তদন্ত করে অপরাধ অনুযায়ী যেন অভিযোগ দাখিল হয় এবং স্বাক্ষীপ্রমাণগুলো যাতে যথাযথ হয় এসব বিষয়ে কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক মামলার বিচার যেন দ্রুত শেষ হয় সেই বিষয়েও কথা হয়েছে।

এদিকে মাদক মামলায় বন্দীদের হাজিরা ছাড়া বিচার করার প্রস্তাবের প্রসঙ্গ টেনে সভাপতি বলেন, যারা মাদকের মামলায় কারাবন্দি আসামি তাদের বার বার কোর্টে হাজিরায় নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা হয়, সেখানে মাদকের লেনদেনের সুযোগ থাকে। এটা যাতে না হয় সেজন্য হাজিরা বন্ধ রেখে বিচার কার্য পরিচালনায় কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণায় ও উচ্চতর আদালতের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।

ডোপটেস্ট বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পথে জানিয়ে শামসুল হক টুকু বলেন, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডোপ টেস্ট বিধিমালার আওতায় গণপরিবহনের চালকসহ সকল স্তরের শ্রমিকদের আনা হচ্ছে। এছাড়া উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ডোপটেস্ট নিশ্চিত করা হচ্ছে। দেশের ১৭ কোটি মানুষকেই ডোপ টেস্টের আওতায় আনা জরুরি।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করায় সর্বোচ্চ ঘৃণা প্রকাশ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়।

শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ।

এইউএ/এমএইচএস