ফাইল ছবি

রাজধানীর আদাবর থানার হাজত থেকে পালানো মাদক মামলার নারী আসামি লাবনী আক্তারকে (২০) কেরানীগঞ্জের মধু সিটি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘ ১৭ ঘণ্টা ঢাকা ও আশপাশের থানায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অসতর্কতায় থানা হেফাজতে থাকা মাদক মামলার নারী আসামি লাবনী আক্তার পালিয়ে যান। ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে সে কৌশলে থানা থেকে চলে যায়। পরে ভোর ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও পরিদর্শকের (অপারেশন) নেতৃত্বে ঢাকার মোহাম্মদপুর, আদাবরসহ আশপাশের এলাকা এবং সাভার, হেমায়েতপুর, বসিলার মধুসিটিসহ বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়। অবশেষে ১৭ ঘণ্টা পরে আমরা আসামিকে ফের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।

ওসি আরো বলেন, ওই নারীর স্বামীকে আটক করার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরাণীগঞ্জ থানার বসিলা এলাকার মধু সিটি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানাতে পারব।

আসামি পালানো ও দায়িত্বে কারো গাফিলতি ছিল কি না— সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন। এ বিষয়ে আমি বলতে পারছি না। তবে দায়িত্বরতদের অসতর্কতা তো ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

এর আগে শুক্রবার আদাবর থানার শেখেরটেক ১২ নম্বর রোড থেকে ২০ পিস ইয়াবাসহ লাবনী আক্তারকে গ্রেপ্তার করেন আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহিম। পরবর্তীতে ওইদিনই তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন ইব্রাহিম। মামলা শেষে থানায় ছিলেন লাবনী। পরবর্তীতে শনিবার ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঘুমে আচ্ছন্ন হলে তিনি পালিয়ে যান। এই সময় ডিউটি অফিসার হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন।

সূত্রে জানা গেছে, আসামি লাবনীকে গ্রেপ্তারের পর সে অসুস্থ বোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে থানায় আনা হলেও হাজতে রাখা হয়নি। বরং তাকে ডিউটি অফিসারের কক্ষে এক নারী কনস্টেবলের পাহারায় রাখা হয়।

এসএএ/এমজে