বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা না করে বেসরকারি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান।

রোববার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে তিনি বেসরকারি সিলিন্ডারের দাম কমিয়ে পুননির্ধারণ করে খুচরা বাজারে তা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।

খালেকুজ্জামান বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণের জন্য সম্প্রতি বিইআরসি গণশুনানি করেছে। সেখানে ভোক্তা সংগঠন ক্যাব সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যে সব মতামত দিয়েছিল, জনস্বার্থের সেইসব মতামত বিইআরসির সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হয়নি।

তিনি বলেন, গণশুনানিতে বিইআরসির টেকনিক্যাল কমিটিও বেসরকারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮৬৬ টাকা প্রস্তাব করেছিল, ক্যাবসহ অন্যরা যুক্তি ও তথ্য দিয়ে বলেছিল ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কোনো ক্রমেই ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকার বেশি হতে পারে না। অথচ দাম নির্ধারণ করা হলে ৯৭৫ টাকা। এমনকি ওই দামও খুচরা বাজারে কার্যকর নাই। অনেক বেশি দামে ভোক্তা জনগণকে কিনতে হচ্ছে।

বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান অবিলম্বে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৭৫০/৮০০ টাকা পুননির্ধারণ করে খুচরা বাজারে তা কার্যকর করার দাবি জানান।
১২ এপ্রিল (সোমবার) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রান্নার কাজে ব্যবহৃত লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।

ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি মাসে সরকারি এলপিজির ১২ কেজি বোতলের দাম হবে ৫৯১ টাকা, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ দাম হবে প্রতিকেজি ৭৯ টাকা ০১ পয়সা। আর বেসরকারি বোতলজাত এলপিজির প্রতিকেজির মূল্য ধরা হয়েছে মূসকসহ ৮১ টাকা ৩০ পয়সা। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার অটোগ্যাসের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা। ১২ কেজির বোতল হাতবদলের ক্ষেত্রে পরিবহন ভাড়াসহ ডিস্ট্রিবিউটর বা বিপণন চার্জ ৫০ টাকা, ডিলার রিটেইলারের চার্জ ৩০ টাকা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের সঙ্গে যুক্ত আছে।

এসএম