চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৫ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। একই সঙ্গে অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (১৮ এপ্রিল) সুজনের সভাপতি এম. হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে মার্চ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ, প্রতি মাসের বেতন ৫ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান, পবিত্র রমজান মাসে কর্মঘণ্টা ৯ থেকে কমিয়ে ৬ ঘণ্টা করা, ইফতার ও সেহেরির সময় কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিলেন। এ বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে পাঁচ  শ্রমিক নিহত হয়েছেন। যা হত্যাকাণ্ডেরই নামান্তর। সংঘর্ষের ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ নিহতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন : বাঁশখালীতে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা

সুজন মনে করে, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ না করায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে ; যার দায় মালিকপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। এর আগে ২০১৬ সালে ওই এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি, তখন স্বাধীন দেশের অসহায় শ্রমিকদের নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই এ ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা দরকার।

এনএম/এসকেডি