তেজগাঁওয়ে মাল্টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে: মেয়র আতিকুল
বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম
রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের আন্ডারগ্রাউন্ডে এবং ওপরে মাল্টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ড পরিদর্শন শেষে মেয়র বলেন, আমরা এখন চিন্তা করছি এখানে রেলওয়ের জায়গা আছে। আমরা রেলওয়েকে চিঠি লিখব এখানকার ২১ বিঘা জমি ডিএনসিসিকে দেওয়ার জন্য। এটি পেলে আন্ডারগ্রাউন্ডে এবং ওপরে মাল্টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করব।
বিজ্ঞাপন
মেয়র বলেন, এই সড়কটি প্রায় চল্লিশ বছর পর মেয়র আনিসুল হক দখলমুক্ত করেন। কিন্তু মাঝেমধ্যেই এখানে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পার্কিং করা হয়। আমরা পুলিশের সহায়তায় দখলমুক্ত করি, কিছুদিন পর আবার দখল হয়ে যায়। এর একটি স্থায়ী সমাধান আমাদেরকে করতে হবে।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, আমি রাজউককে বলেছি, ঢাকা শহরে যে ট্রাক আসে এর জন্য কেন আমরা পরিকল্পনা নেইনি। থানার সামনে যেভাবে গাড়ি ডাম্পিং করা হয় সেজন্য কেন আমাদের পরিকল্পনা ছিল না। এসব পরিকল্পনা আমাদেরকে করতে হবে। ঢাকাকে উন্নত শহরে পরিণত করতে হলে এগুলোর সমাধান করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ডিএনসিসির আওতাধীন ভাষানটেক, ইব্রাহিমপুর এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র। এসময় তিনি বলেন, ভাষানটেকের মূল রাস্তাটি ১২০ ফুট চওড়া। এই এলাকার মানুষ জানে আগে কি অবস্থা ছিল। এখানে চলতে গেলে আগে অনেক ট্রাফিক জ্যাম হতো। আগের চিত্র এবং বর্তমান চিত্রের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই ১২০ ফুট চওড়া রাস্তা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলে রাস্তা ২০ ফিট হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা চাই, যে জায়গাগুলোতে দখল করে নেওয়া হয়েছে, তা উদ্ধার করতে হবে। এটাকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
মেয়র আরও বলেন, আমি মনে করি যতটুকু জায়গার রাজউকের অনুমোদন আছে, ততটুকুতেই ভবন বানাতে হবে। দখল করা জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। রাজউকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বাড়ির সীমানা মার্কিং করবে। দখল করা জায়গা আমরা ভেঙে দেব। এখানকার স্থানীয় জনগণসহ জনপ্রতিনিধিরা সবাই চাইছেন এই সড়কটি প্রশস্ত করতে এবং আমরা তা করব।
এদিকে ইব্রাহিমপুরে প্রায় ৪ কি.মি. সড়কের উভয় পাশে প্রায় ৩৫০টি বাড়ি ও দোকানের সামনের দেয়াল ভেঙে প্রশস্ত করা হয়। বাড়ি ও দোকান মালিকরা নিজ উদ্যোগে এটি করেন। এর ফলে গলির ভেতরের এই রাস্তা দিয়ে সহজে যান চলাচল করতে পারবে। সড়কগুলো হলো- ইব্রাহিমপুর মুন্সিবাড়ি সড়ক থেকে মধ্যপাড়া জামে মসজিদ হয়ে ইব্রাহিমপুর প্রধান সড়ক পর্যন্ত এবং ফ্যাশন টেইলার্সের গলি থেকে বিআরবি গার্মেন্টস পর্যন্ত। গলির ভেতরে এই সড়কগুলো এর আগে ৯ ফুট থেকে ১২ ফুট প্রশস্ত ছিল। বাড়ি ও দোকানের দেয়াল ভাঙার পর বর্তমানে তা ১৬ ফুট থেকে ২০ ফুট প্রশস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে মেয়র আতিক বলেন, এই এলাকার রোডগুলো আগে ১২ ফুটের বেশি ছিল না। জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা এবং আপামর জনসাধারণ মিলে পরিকল্পনা করে রাস্তাগুলোকে ১৬ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করেছে। এজন্য আমি এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা নিজেদের উদ্যোগে আমাদের সঙ্গে আলাপ করে এই কাজটি করেছে। নিজের স্বার্থ চিন্তা না করে জনগণের স্বার্থে, সবার স্বার্থে এই রাস্তাগুলো বড় করা হয়েছে। এর ফলে এই এলাকার জনগণই উপকৃত হবেন।
পরিদর্শনের সময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/জেডএস