উত্তরা স্টেশন থেকে উঠেছি, যাব মতিঝিল। সব ঠিকঠাকই ছিল। পল্লবী আসার পর ট্রেনের ভেতরের আলো কমে আসে। পরে কাজীপাড়ার একটু আগে ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। আমরা বুঝতে পারছিলাম না কী হয়েছে। অনেকে ভয় পাচ্ছিলেন। এভাবে প্রায় ২ ঘণ্টা থাকতে হলো অনিশ্চয়তায়।

রোববার দুপুরে হঠাৎ করে চলমান মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীদের একজন মোজাফফর হোসেইন জানাচ্ছিলেন তার অভিজ্ঞতা। প্রায় দুই ঘণ্টার ভোগান্তি শেষে মতিঝিল না গিয়ে সচিবালয় স্টেশনে নেমে যান মোজাফফর। সেখানেই তার সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের।

প্রায় একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে ওই ট্রেন এবং একই সময়ে লাইনে আটকে থাকা মেট্রোর অন্যান্য ট্রেনের যাত্রীদের। অনেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ভয় ও অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন। অনেকে সময় নষ্ট হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন। কেউ কেউ আবার ফেসবুকে নিজেদের মিশ্র অভিজ্ঞতার জানান দিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত মেট্রোরেল বন্ধ থাকার ঘটনায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেলের চলাচল। পরে কর্তৃপক্ষ জানায়— ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে (ট্রেন চলাচলের ওপরের বৈদ্যুতিক লাইন) বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।

সাগর মাহমুদ নামে এক যাত্রী বলেন, টিকিট আগে কাটা ছিল। দ্রুত মতিঝিল যাওয়ার দরকার ছিল তাই মেট্রোতে উঠি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটা মিটিং মিস করতে হলো।

আরেক যাত্রী মাহমুদুল হাসান বলেন, আজ প্রথম দেখলাম মেট্রোরেলও ট্রাফিক সিগনালের মতো আটকে থাকে! কী হয়েছে বুঝতেই পারিনি। দীর্ঘক্ষণ ভেতরে বসে ছিলাম, দুশ্চিন্তা হচ্ছিল।

মতিঝিল স্টেশনে ঢুকে আটকে থাকা যাত্রী জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্টেশনে এসে লাইন ধরে টিকিট কেটে দেখি ট্রেন নেই। ভাবলাম হয়ত চলে আসবে, অপেক্ষা করি। কিন্তু এই অপেক্ষার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। এরকম হবে জানলে তো আজ আর মেট্রো স্টেশনে ঢুকতামই না।

এ প্রসঙ্গে এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ হয়। আমাদের কর্মকতারা দীর্ঘসময় চেষ্টা করে বিষয়টি সমাধান করেছেন। বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

এদিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় মেট্রোর সব স্টেশন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে নতুন করে যাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেননি। আগে যারা স্টেশনে ঢুকেছিলেন তারা ভেতরে অবস্থান করেন।

ওএফএ/এমজে