স্বাধীনতার চেতনা হৃদয়ে ধারণ করতে হবে: আইজিপি
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মহান স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার চেতনা আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। একে ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চেতনায় স্বাধীনতা ম্যুরাল উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ প্রধান বলেন, হাজার বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আমরা কখনো স্বাধীন ছিলাম না। ক্ষুধা ও দারিদ্রপীড়িত অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত জাতি ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সমবেত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মহান স্বাধীনতা। স্বাধীনতা আমাদের অন্যতম চালিকাশক্তি। একে মূলমন্ত্র হিসেবে ধরে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের পথে ধাবমান। সমগ্র বিশ্বকে তাক লাগিয়ে বাংলাদেশ 'ম্যাজিক' হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা জানান, ম্যুরালটির মূল উপজীব্য মাস্তুলসহ একটি নৌকার প্রতিচ্ছবি যা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনার প্রতীক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আটটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক পৃথকভাবে আটটি ফলকে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। নৌকার মাস্তুলের বাঁ দিকের চারটি ফলকে ৫২, ৫৪, ৫৬ ও ৬২ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক ঘটনা এবং ডান দিকের চারটি ফলকে ৬৬, ৬৯, ৭০ ও ৭১ সালের উল্লেখযোগ্য ঘটনা বিধৃত হয়েছে।
মাস্তুলের উপরিভাগের পটভূমিতে রয়েছে একটি উদীয়মান লাল সূর্য, লাল সূর্যের বুকে রয়েছে বাংলাদেশের একটি সোনালী মানচিত্র। মানচিত্রের সম্মুখে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুর চার সহযোদ্ধা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের আবক্ষ ভাস্কর্য।
জেইউ/টিএম