রাজধানীর খিলক্ষেতের বালুর মাঠ এলাকায় প্রতিবেশীর কিল-ঘুষিতে রনি মিয়া (১১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাত ১টার সময় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর পর থেকেই অভিযুক্ত ফয়েজ মিয়া পলাতক রয়েছেন। মৃত্যুর পর পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের মামা মো. স্বপন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বোনের একমাত্র ছেলে। তার বাবা পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক। কী দোষ ছিল আমার ভাগিনার?

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিশুটির মামা। তিনি বলেন, গত ১৬ এপ্রিল বিকেল ৫টায় পাশের বাসার ফয়েজ মিয়া তার ছোট মেয়েকে মারতে ছিল। তখন কেউ ছিল না, আমার ভাগ্নে এগিয়ে গিয়ে বলেন মামা ওকে মারতেছেন কেন ছেড়ে দেন। এ কথা বলার পরে আমার ভাগ্নের ডান পাঁজরে আঘাত করলে সে কাউকে কিছু বলেনি।পরে আমার বোন গোসল করাতে গেলে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। আমার ভাগ্নে বলে, তোমরা ঝগড়া করবে বলে কিছু বলিনি। মঙ্গলবার ইফতার শেষে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১টার দিকে সে মারা যায়। পরে বাসায় নিয়ে এলে পুলিশ এসে সুরতহাল করে আজ দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠায়।

মৃত রনি খিলক্ষেত থানার বালুরমাঠ মধ্যপাড়া ৪০/৩ ভাড়া বাসায় থাকত। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার বরমোপাড়ায়। তার পিতার নাম মো. রায়হান মিয়া।

খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে জানান, গত ১৬ এপ্রিল মধ্যপাড়া এলাকায় একটি বাসায় বিকেল পাঁচটার দিকে ফয়েজ মিয়া নামের এক ব্যক্তি তার নিজের মেয়েকে মারার সময় পাশের রুমের থাকা রনি মিয়া নামের শিশুটি বাধা দেয়। এতে রাগান্বিত হয়ে ওই বাসায় থাকা একটি প্লাস্টিকের পুতুল দিয়ে ছেলেটির পাঁজরে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। এরপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়েজ মিয়া পলাতক রয়েছেন।

এসএএ/এফআর