রাজধানীর বাবুবাজার ব্রিজের পাশে আরমানিটোলায় ছয়তলা হাজী মুসা ম্যানসন ভবনে কেমিকেল গোডাউনে লাগা আগুনে দগ্ধ ২১ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন নারী আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি আছেন। বাকি ১৬ জন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।

চিকিৎসাধীনদের মধ্যে মোস্তফা নামে একজন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। ভর্তি ২০ জনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এদের মধ্যে দুজনের ফিজিক্যাল বার্ন।

আহতরা হলেন- আশিকুজ্জামান (৩৩), তার স্ত্রী ইসরাত জাহান মুনা (৩০), শ্বশুর ইব্রাহিম সরকার (৬০), শাশুড়ি সুফিয়া বেগম (৫০), শ্যালক জুনায়েদ (২০), মোস্তফা (৪০), ইউনুস মোল্লা (৬০), সাকিব হোসেন (৩০), সাখাওয়াত হোসেন (২৭), সাফায়েত হোসেন (৩৫), চাষমেরা বেগম (৩৩), দেলোয়ার হোসেন (৫৮), আয়সাপা (২), খোরশেদ আলম (৫০), লায়লা বেগম (৫৫), মোহাম্মদ ফারুক (৫৫), মেহেরুন্নেসা (৫০), মিলি (২২), পাবিহা (২৬),আকাশ (২২) ও আসমা সিদ্দিকা (৪৫)। 

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তন্ময় প্রকাশ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, আরমানিটোলার ঘটনায় আমাদের এখানে ২১ জন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এদের মধ্যে ২০ জনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আশিকুজ্জামান, ইসরাত জাহান মুনা, সাফায়েত হোসেন ও খোরশেদ আলম আইসিইউতে ভর্তি আছেন। মোস্তফা নামের একজন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। ভর্তি ২০ জনের ১৫-২২ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। বাকি ১৬ জন বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান এই চিকিৎসক।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শেখ হাসিনা বার্নে ২১ জনের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকি সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তবে কেউই আশঙ্কামুক্ত নন, তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ১৮ মিনিটে আরমানিয়ান স্ট্রিটের হাজী মুসা ম্যানসনে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ওই ভবনের দোতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত লোকজন বসবাস করে। আগুন লাগার পর ভবনের ছাদে কিছু লোক আটকা পড়েন। আগুন লাগার ঘটনায় চার জন মারা গেছেন

এসএএ/এইচকে